কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে এক অসহায় পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের শাহানাজ বেগম কেশবপুর প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, আমারা দিনমজুর ও অসহায় পরিবার। বসতভিটার জমি ছাড়া আমাদের আর কোন জমি নেই। উপজেলার ১০নং দত্তনগর মৌজায় আরএস- ৬৮ দাগসহ ৪ দাগে ১৪৪ শতক জমির মধ্যে ৭১ শতক জমি ক্রয় ও পৈত্রিক সূত্রে ভোগ দখল করে আসছে যার মধ্যে ৩৭ শতক জমি সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ওই ৩৭ শতক জমি আমার পরিবার অবৈধভাবে ভোগ দখল করছি বলে নোটিশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু ওই জমি অন্যান্য শরিকদের দখলে থাকায় আমরা আমাদের দখলীয় জমির দখল ছাড়তে রাজি হয়নি।
গত ২৯ অক্টোবর সরকারি সার্ভেয়ার আমাদের দখলীয় জমি মাপযোগ করে ৩৭ শতক খাস জমি চিহ্নিত করে ও জমির বিভিন্ন প্রকার ফলদ গাছ কেটে দেয়। এ সময় বাধা দিলে আমার স্বামীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়। সেই থেকে আমার স্বামী জেল হাজতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এ ঘটনার প্রতিকারে আমার স্বামী খায়রুল বাসার বাদী হয়ে সরকারের পক্ষে কালেক্টরেট, কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাতবাড়িয়া উপসহকারী কর্মকর্তাসহ (তহশীলদার) ৭ জনকে বিবাদী করে যশোর বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। যা আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে, এ সমস্যার কোন নিরসন না করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের ওই বিরোধীয় জমিতে ভূমিহীনদের আধাপাকা ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি সংবাদ সম্মেলন থেকে ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পাওনা জমি ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি জমির উপরই ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুঠোফোনেও যেভাবে দেখবেন বিশ্বকাপ