কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে খেলার মাঠে শৌচাগার নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শত শত গ্রামবাসী। শনিবার বিকালে উপজেলার শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন করা হয়।
অচিরেই নির্মাণ কাজ বন্ধ না হলে ওই বিদ্যালয়ে আর কোনো শিক্ষার্থী পাঠানো হবে না বলেও মানববন্ধন থেকে জানানো হয়। ওই স্থানে শৌচাগার নির্মিত হলে ৫ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধসহ হুমকিতে পড়বে একটি কবরস্থান। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪২ সালে স্থপিত হয়। এরআগে থেকে ওই মাঠে খেলাধুলা করতো শিকারপুর পাত্রপাড়া গ্রামের ছেলেরা। যুগ যুগ ধরে মাঠটিতে ফুটবল ও ক্রিকেটের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামুলক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ওই মাঠকে কেন্দ্র করে ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কার্যত শিকারপুরবাসী খেলাধুলাকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
শিকারপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির হোসেন অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের পাশে এলাকার মিজানুর রহমান, আজগর আলীর পারিবারিক কবরস্থান রয়েছে। বিদ্যালয়ের পিছনের ১০টি পরিবারের অর্ধশত লোক কবরখানার পাশ দিয়ে যাতায়াত করে। সেই যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে শৌচাগার নির্মাণ করলে পরিবারগুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। এছাড়া, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিনে পুরনো বাজারের সুবিধার কথা বিবেচনা না করে উদ্দেশ্যমুলকভাবে সরকারি হালটের ১৭টি দোকান ঘর ২৫ জানুয়ারি ভেঙে দিয়েছে। যে কারণে দোকানের আয় বন্ধ হওয়ায় শতাধিক লোকের দিন কাটছে অর্ধহারে অনাহারে। শতবর্ষী খেলার মাঠ ধ্বংস করে শৌচাগারের নির্মাণকাজ বন্ধ না হলে আরও কঠিন কর্মসূচী দেয়া হবে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, আব্দুস সামাদ, আজিজুর রহমান, আবুল কালাম গাজী প্রমুখ।
প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, গ্রামবাসী মানবন্ধন করেছে তা আমার জানা নেই। স্কুলের জায়গায় বাথরুম করা হবে, অন্য কোথাও নয়।
