কেশবপুর পৌর প্রতিনিধি: কেশবপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রাম্য আদালতে জনসম্মুখে হারুন অর রশিদ নামে একজনকে দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখার নির্দেশ ও হাড় গোড় ভেঙে দেয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন হারুন অর রশিদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট চারের মাথা ঈদগাহ সংলগ্ন জমির দখল নিয়ে ঈদগাহ কমিটির সাথে হারুন অর রশিদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি উভয় পক্ষের সমঝোতার একপর্যায়ে হারুন তার ক্রয়কৃত সম্পত্তির দখল নিয়ে সেখানে ফলজ গাছ লাগান।
এদিকে গাছ লাগানোর কয়েকনি পর একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে বিষয়টিকে ধর্মীয় ইস্যু তৈরি করে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে গত ১৮ অক্টোবর ঈদগাহ কমিটির পক্ষে আব্দুল গফুর গোলদার ঈদগাহের মাটি কাটার অভিযোগে হারুনের বিরুদ্ধে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করলে পরিষদ থেকে ওই দিনই হারুনকে ২২ অক্টোবর পরিষদের গ্রাম্য আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কেশবপুরে জন্মদিনে সারারাত মদ পান করে কিশোরের মৃত্যু
পরবর্তিতে তারিখ পরিবর্তন করে ২৯ অক্টোবর সালিশের দিন নির্ধারণ করা হলে যথাসময়ে হারুন ও ঈদগাহ কমিটির লোকজন মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হন। আদালতের বিচারক সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বিবাদীর কোন কথা না শুনে ওই হারুনকে তার জমি ঈদগাহে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
এতে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের গ্রাম্য আদালতে উপস্থিত জনসম্মুখে প্রকাশ্যে ওই সেনা সার্জেন্টকে দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখার হুকুম দেন। শুধু তাই নয়, ওই জমির উপর গেলে তাকে (সেনা সার্জেন্ট) হাড়গোড় ভেঙে দেয়া, এমনকি তাকে চাকরিচ্যুতিরও হুমকি দেন চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, এই ধরনের কোন ঘটনা আমার পরিষদে ঘটেনি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।