কেশবপুর প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুর-পাটকেলঘাটা সড়কের ওপর থেকে ১২টি শিশু গাছ স্থানীয় ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মেদ কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য ৩ লাখ টাকা। এ খবর পেয়ে যশোর জেলা পরিষদের সদস্য খন্দকার আজিজ ও সার্ভেয়ার এম এ মঞ্জু ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ ও গাছের টুকরা উদ্ধার করেছেন।
এলকাবাসী ও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর রাতে কেশবপুর উপজেলার ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মেদসহ ৮/১০জন গাছ চোর কেশবপুর-পাটকেলঘাটা সড়কের কাবিলপুর বেলেমাঠ নামকস্থান থেকে, যশোর জেলা পরিষদের রোপণকৃত ১২টি শিশু গাছ কেটে নেন।
রোববার সকালে কেটে ফেলা গাছ ও গাছের টুকরা গুলি নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে জেলা পরিষদের সদস্য খন্দকার আজিজকে মোবাইলের মাধ্যমে খবর দেন। খবর পেয়ে খন্দকার আজিজ ও জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এমএ মঞ্জু ঘটনাস্থল গিয়ে ৭টি গাছ এবং স্থানীয় আওয়ালগাতি বাজারের জনৈক কাঠ ব্যবসায়ীর গোলায় বিক্রি করা ৫টি গাছের টুকরা উদ্ধার করেন।
ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মেদ বলেন, গাছ গুলি রাস্তার উপর ভেঙে পড়ার কারণে আমি মেম্বর হিসেবে গাছ গুলি কেটে নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে রেখেছি।
যশোর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এমএ মঞ্জু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে কাবিলপুর বেলেমাঠ ও আওয়ালগাতি বাজার থেকে ১২টি গাছ ও গাছের টুকরা উদ্ধার করা হয়। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মামলা করা হবে।
জেলা পরিষদের কেশবপুর উপজেলার সদস্য খন্দকার আব্দুল আজিজ বলেন, জেলা পরিষদের সড়কের ওপর থেকে যারা গাছ কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।