আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কেশবপুর
কেশবপুরে ৪ দিনের বজ্র ও ঝড়ো হাওয়ায় আম চাষিদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। হতাশ হয়ে পড়েছেন উপজেলার আম চাষিরা।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। সবেমাত্র গাছের আম পাক ধরা শুরু হয়েছে। আমের বাম্পার ফলন হওয়ায় আম চাষিরা ছিলেন খুব খুশি। কৃষকের আশা দূরাশায় পরিণত করে দিয়েছে পর পর ৪ দিনের প্রবল বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ের কারণে। গত ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ মে প্রতিদিন বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আমগাছের ডালপালা ভেঙ্গে গেছে ও ব্যাপক আম গাছ থেকে ঝরে পড়েছে। উপজেলার বাগদাহ গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, তিনি ৫ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আমের বাগান তৈরি করেছেন। সুন্দর পরিচর্যার ফলে আমের এ বছর বাম্পার ফলনও হয়েছে। কিন্তু পর পর ৪ দিন আকস্মিক ঝড় হাওয়ায় তার বাগানে গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং অপরিপক্ক প্রায় ২০ মণ আম পড়ে গেছে। একই গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন ঝড়ের কারণে তার আম বাগানের প্রায় ১৫ মণ আম পড়ে গেছে। উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের আব্দুল মান্নান ও শহিদুল ইসলাম বলেন ঝড়ের কারণে তাদের আম বাগানের গাছপালার ডাল ভেঙ্গে ক্ষতি হয়েছে এবং ২০ মণ করে আম ঝরে পড়েছে।
এছাড়াও উপজেলার ১৪৪ টি গ্রামের অনেক সৌখিন আম চাষিরা প্রত্যেকের বাসা-বাড়ির উন্নতজাতের আম গাছে এবছর অনেক ফলন হয়েছিলো। কিন্তু পর পর ৪ দিন আকস্মিক ঝড় হাওয়ার কারণে অপরিপক্ক আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে আম চাষিরা খুব হতাশ হয়ে পড়েছেন।
কেশবপুর পৌর শহরের আমের আড়ৎদার আবদুল হালিম বলেন, গত কয়দিনের ঝড়ে আমের খুব ক্ষতি হয়েছে। চাষিরা ঝড়ে পড়া আম বাজারের আড়তে আমদানি করলেও আমের বাজার মূল্য অনেক কম। ১২/১৩শ টাকার মণ দরের আম বর্তমান ৮/৯শ টাকা মণ দরে বিক্রি করছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, উপজেলার শত-শত আম চাষি বাণিজ্যিকভাবে তাদের বাগানে আমের চাষ করেছিলেন। উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের সার্বিক পরামর্শ ও তত্বাবধানে আম চাষিদের সুন্দর পরিচর্যার ফলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনও হয়েছিলো। কিন্তু আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ার কারণে আম চাষিদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
