কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়েছেন। ১৭ এপ্রিল বিকেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্রদলের গঠন-পুনর্গঠন বিষয়ে যাবতীয় ক্ষমতা সংগঠনের অভিভাবক তারেক রহমানের ওপর অর্পণ করেন। তিনি ছাত্রদলের বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আংশিক কমিটি মনোনীত করেছেন। কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।
এদিকে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হওয়ায় এলাকায় চলছে নানান আলোচনা। কাজী রফিকুল ইসলাম নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। শ্রাবণের বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মেজ ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। সেজ ভাই কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক।
কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্রাবণ ছাত্রদলের নেতা হওয়ায় সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এজন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। আমরা পাঁচ ভাই ও এক বোন। সবার ছোট শ্রাবণ। মেধাবী ছাত্র। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত।
মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, রাজনীতির কারণে ১৫ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে শ্রাবণের কোনো সম্পর্ক নেই। সংসদ নির্বাচনে এলাকায় এসেছিল ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে। কিন্তু বাড়ি আসেনি। শ্রাবণের পরিবারের দাবি, শ্রাবণ ছাড়া তাদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এজন্য ১৫ বছর ধরে সে বাড়ি আসে না।