কল্যাণ ডেস্ক
বিএনপি নেতারা ভীরু-কাপুরুষ অপরাধী ছাড়া কোন নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল। তিনি বলেন, যারা অপরাধী তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এত কোন ইউনিয়ন (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) কোন দেশ বিবৃতি দিল, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধো হত্যা দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার দেশের আইনে, আমার দেশের অপরাধীকে আমি বিচার করতে পারব না এ কোন গণতন্ত্র? কোথা থেকে এলো এ আদেশ? আমার দেশের অপরাধী-খুনির বিচার আমরা করতে পারব না, তাকে জেলে পাঠাতে পারব না, এটা কীভাবে হয়? তিনি বলেন, আদালত আছে। কেউ নিরপরাধ হলে আদালত তাকে মুক্তি দেবে, কারণ এখানে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন।
নিরপরাধ কেউ যেন ধরা না পড়ে, তা নিশ্চিতের কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘আমি খেয়াল রাখব, অপরাধী ছাড়া কোনো নিরীহ লোক যাতে ধরা না পড়ে। এতে বদনাম হয়, এই বদনাম আমরা ঘাড়ে নেব কেন’?
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন কোথায়? লাফালাফি আর বাড়াবাড়ি কই গেল? বিএনপির কাছে আমার প্রশ্ন ৭ নভেম্বর আপনাদের ১ নম্বর জাতীয় দিবস। বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এই দিবসের কর্মসূচি যারা স্থগিত করে, তারা ভীরু-কাপুরুষ। এদের রাজনীতি করার সাহস নাই। তারা তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করারও সাহস পায়নি, সেই কাপুরুষদের কাছে রাজনীতি কি মানায়? এই কাপুরুষদের আন্দোলন করার সাহস তো এখানেই বোঝা যায়।
কাদের বলেন, ২৮ তারিখ তারা সরকার ফেলে দেয়। শেখ হাসিনা এখন সৌদি আরবে। সেই বিএনপি নেতারা এখন কে কোথায়? কেন কারাগারে? যারা কারাগারে….তারা দায় অস্বীকার করতে পারবে না। সেদিন মির্জা ফখরুল স্টেজে এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখে নেতারা কেউ নাই, তখন বেচারা দিশেহারা হয়ে এমন দৌড়…. ওই দৌড় ডেমরার সালাহউদ্দিনের দৌড়কেও হার মানায়।
কাদের বলেন, বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে একটা বাস জ্বালালে ৩ হাজার টাকা মাথাপিচু। আগুন দেয়ার পর ফোন করলেই মোবাইলে ৩ হাজার টাকা চলে আসে। এখন আবার ডাবল হয়ে গেছে। কারণ বেশকিছু গাড়ি পোড়াইছে, আবার ধরাও পড়ছে। রফিক আর হাছান ধরা পড়ল। কুষ্টিয়ার এক বিএনপি নেতা তাকে ফোনে বলে, ঢাকায় আয় তোর কাজ আছে। কাজ কী? প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করতে হবে।
৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান কর্ণেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল। সেদিন কত সৈনিক আর কত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। কথা আছে জিয়া নাস্তা করতে করতে আর রাতের খাবার খেতে খেতে ফাঁসির আদেশে সই করতেন। সেই জিয়ার উত্তসূরী খালেদা আর তারেক বাংলাদেশে হত্যা, খুন আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করেছে, তারা আগুন সন্ত্রাসের সূচনা করেছে দেশে।
কাদের আরো বলেন, ৭ নভেম্বর বিএনপির উত্থান দিবস। সেই দিবস পালন করতে তাদের এত ভয়। তাদের না কী আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করছে। বিএনপি নিজেরাই যথেষ্ট নিজেদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। আওয়ামী লীগ লাগবে না। শেখ হাসিনাকে হঠাবেন? তাকে হঠাতে গেলে আপনারাই হঠে যাবেন।