ডেস্ক রিপোর্ট: কোন মাস্ক বেশি ভালো? এর সঠিক জবাব নেই। গত দুই বছরে কম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। তবু সঠিক জবাব নেই। এন৯৫ না সার্জিক্যাল মাস্ক, কোনটি বেশি কাজের তা নিয়ে এখনও চলছে নানা আলোচনা। এর মধ্যেই কেউ বানিয়েছেন সুতির কাপড়ের মাস্ক। কেউ আবার বিয়েবাড়ির জন্য বেনারসির মাস্ক কিনে ফেলেছেন। সেই সব মাস্ক কতটা কাজের, তা নিয়ে আবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তার মধ্যেই বিশ্বের নজর কেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কোস্ক’।
শুধু নাক ঢাকা থাকে এই মাস্কে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘কো’ মানে নাক। ‘কো’ আর ‘মাস্ক’ মিলে হয়েছে ‘কোস্ক’। গোটা বিশ্বের নজরে এখন এই মাস্কই।
কেন দক্ষিণ কোরিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছে?
সাধারণত মাস্ক পরে থাকলে খাওয়া যায় না। খাওয়ার সময়ে সেটি সরিয়ে নিতে হয়। কিন্তু কোস্কে সেই অসুবিধা নেই। কোস্ক পরেও স্বাভাবিকভাবে খাওয়াদাওয়া করা যায়। খাওয়ার সময়েও কিছুটা সুরক্ষিত রাখা যায় নিজেকে। কোস্ক পরলে নাক দিয়ে যে জীবাণু প্রবেশ করবে না শরীরে, সে বিষয়ে কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকা যায়।
কোস্ক কি আদৌ কোনো কাজে লাগে?
ইন্টারনেট জগতে এ মাস্কের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেউ বলছেন, এটি শুধুই ফ্যাশন। কেউ বলছেন, নজর কাড়ার জন্য তৈরি হয়েছে এটি। এ মাস্ক পরলেও মুখ খোলা থাকছে, ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে মত অনেকের।
আবার মত রয়েছে কোস্কের পক্ষেও। যেহেতু প্রয়োজনে এ মাস্কের ভাঁজ খুলে মুখও ঢেকে নেওয়া যায়, তাই এ অভিনব ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, না হয় শুধু নাক-ই ঢাকল, খাওয়ার সময়ে বাড়তি সুরক্ষা তো পাওয়া যাচ্ছে।
এসব তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কোস্ক।