মুহাদ্দিস শাফিউর রহমান আফসারী ॥ স্বাগতম মাহে রমজান। একটি বছর পর আজ আবার আমাদের জীবনে ফিরে এলো মহা মুক্তির দিশারী ও মহান নাজাতের মাস রমজান। রহমত বরকত ও মাগফিরাতের মহান বার্তা নিয়ে আজ আবার আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতে ধন্য রহমত,বরকত ও মাগফিরাতের বাণীতে শিক্ত মাহে রমজান। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,রোজা একজন রোজাদারকে তাকওয়া বা খোদাভীরু তার পথে অগ্রসর করতে পারে যদি উক্ত রোজাদার রোজার হক আদায় করে রোজা পালন করতে পারে। রোজা প্রকৃতপক্ষেএকজন রোজাদার কে তাকওয়া বা খোদাভীতি এবং খোদার প্রেম অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পবিত্র রমজান আমাদের মাঝে আসলে আমাদের ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে একটা পবিত্রতার ছোয়া দেখা যায়। মাহে রমজান আসলে আমরা আল্লাহর ইবাদতে বেশী করে মাশগুল থাকি এবং আল্লাহর ভয়ে সকল প্রকার গোনাহ থেকেও আমাদের যথাসাধ্য বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। এই রমজান মাসেই অবর্তীণ হয়েছে বিশ্ব মানবতার চির কল্যানের হেদায়েত গ্রন্থ আল কুরআন। আর আল কুরআন হচ্ছে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী এবং আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য একমাত্র পূণাঙ্গ জীবন বিধান। পূণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে একমাত্র আল কুরআনেই রয়েছে বিশ্ব মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনেই কুরআন সম্পর্কে এরশাদ করেন , ‘হুদাল লিন নাস’ অর্থাৎ এই কুরআন পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য হেদায়েত বা পথ প্রদর্শক হিসেবে কেয়ামত পর্যš আলো দিয়ে যাবে । যে কোন মানুষ এ গ্রন্থ থেকে হেদায়েত লাভ করতে পারবে। এই কুরআন যেমন নিদৃষ্ট কোন জাতির বা এলাকার জন্য অবর্তীণ হয়নি তেমনি ভাবে এটা কোন নির্ধরিত সময়ের জন্যও অবর্তীণ হয়নি অর্থাৎ এই কুরআন সর্ব যুগের এবং জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের জন্যই মহা মুক্তির মহা সনদ হিসেবে পথ প্রদর্শন করে যাবে। আল্লাহ বলেন, তোমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি নিশ্চিত হতে পারে কেবলই আল কুরআনের পূণাঙ্গ অনুম্বরনের মাধ্যমেই। আর এই কুরআনের হিফাজত করার দায়িত্ব আল্লাহপপাক কারো কাছে অর্পন করেননি বরং আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনের হেফাজত করার দায়িত্ব নিজ হাতে গ্রহণ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক এ সর্ম্পকে এরশাদ করেন, “ইন্না নাহনু নাজাল্লাজ জিকরা অইন্না লাহু লা হাফিজুন” অর্থাৎ আমি নিজেই এ কুরআন নাজিল করেছি আর এর হেফাজত করার দায়িত্ব ও আমি আল্লাহ নিজেই গ্রহণ করেছি। এ কারনেই বর্তমানে পৃথীবিতে আর অন্য কোন কিতাব অবিকৃত অবস্থায় পূর্ণ সংরক্ষিত বা হিফাজত নেই। শুধুমাত্র আল্ল¬াহর কিতাব কুরআন আজ দুনিয়াতে অবিকৃত অবস্থায় হেফাজতে আছে। আর এটা কেয়ামত পর্যন্ত হেফাজতে থাকবে কেননা মহান আল্লাহই এ কুরআনের হিফাজতকারী। আর কুরআন থেকে মুত্তাকিগনই আসল ফাইদা লাভ কবরে। আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, “হুদাল্লীল মুত্তাকিন”-অর্থাৎ মুত্তাকিদের জন্য হেদায়েত আর পবিত্র রমজানের আসল উদ্দেশ্যই হলো সেই মুত্তাকি বা খোদাভীরু লোক তৈরী এবং এটাই আল্ল¬াহর একমাত্র লক্ষ্য। আর আমরা সকলেই জানি যদি কোন ব্যক্তির মনে তাকওয়া বা আল্ল¬াহর ভয় সর্বদা জাগ্রত থাকে তবে ঐ ব্যক্তির দ্বারা গভীর অন্ধকার রাতেও একটা অন্যয় বা পাপকর্ম করা সম্ভব হবে না কেননা উক্ত আল্লাহ ভীরু ব্যক্তি খুব ভালো ভাবেই জানবে যে, এই গভীর অন্ধকারে আমার এ পাপ কর্মটি দুনিয়ার অন্য কেউ না দেখলে ও মহান আল্ল¬াহ রব্বুল আলামিন অবশ্যই দেখছেন। আর আল্লাহ তায়ালা এ ঘোষনাও দিয়েছেন যে, ‘আর যদি তোমরা এ মাস পাও তবে তোমরা এ পবিত্র মাসে রোজা পালন করবে’। তাই আজ থেকে দীর্ঘ একটা মাস আমরা রোজা পালন ও অনান্য ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সর্বাতœক চেষ্টা চালিয়ে যাব। আর আজকের এ পবিত্র মাসের শুরুতে প্রাণভরে উচ্চারণ করব, মারহাবা মাহে রমজান, শুকরান মাহে রমজান,খোশ আমদেদ মাহে রমজান।
সর্বশেষ
- নির্বাসনের অবসান, প্রত্যাবর্তনের মাহেন্দ্রক্ষণ
- ছাত্রী হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- ডিবির জালে শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আকুল
- ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন
- চৌগাছা উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি মাসুদ চৌধুরী গ্রেফতার
- বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- বিএনপির রিল-মেকিং প্রতিযোগিতা, জয়ীরা পাবেন তারেক রহমানের সাক্ষাৎ
- যশোরে মাদকবিরোধী অভিযানে দুইজন গ্রেফতার, কারাদণ্ড