মুহাদ্দিস শাফিউর রহমান আফসারী ॥ হযরত কা’ব ইবনে উজরাহ (রা:) হতে বর্ণিত আছে,একদা মহানবী (স:) বললেন,তোমারা মিম্বরের কাছে এসো আমরা হাযির হলাম। অতপর রাসুল (স:) মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে আরোহন করলেন,এবং বললেন আমীন! এরপর দ্বিতীয় সিঁড়িতে আরোহন করে বললেন আমীন! আবার তিনি তৃতীয় সিঁড়িতে আরোহন করে বললেন, আমীন! রোজার পরিপূর্ণতা লাভ করতে হলে রোজাদারকে ত্যাগের অনূশীলন করতে হবে। নিজেকে এবং নিজের সব অঙ্গ-প্রতঙ্গকেও সব ধরনের গোনাহ থেকে বাচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের অঙ্গ-প্রতঙ্গেরও রোজা পালন করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো অঙ্গ-প্রতঙ্গের রোজ আবার কি? অঙ্গ-প্রতঙ্গের রোজর অর্থ হলো রোজা অবস্থায় কোন ভাবেই রোজার নিষিদ্ধ কাজ গুলো আমাদের কোন অঙ্গ দ্বারা করা যাবে না। চোখের রোজা হলো চোখদ্বারা আল্লাহর নিদের্শের বাইরে র কোন কিছু দেখা যাবে না।কানের রোজা হলো কান দ্বারা কোন হারাম গান-বাজনা শোনা যাবেনা। জ্বিহবার রোজা হরো জ্বিহবা দিয়ে এমন কোন কথা বলা যাবেনা যা আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না অর্থাৎ কারো গীবত করা যাবে না, গালমন্দ করা যাবে না,মিথ্যা বলা যাবেনা এবং বেহুদা বা অপ্রয়োজনীয় কথা বলা যাবে না। রহমত বরকত ও মাগফিরাতের মহান বার্তা নিয়ে আজ আবার আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতে ধন্য রহমত,বরকত ও মাগফিরাতের বাণীতে শিক্ত মাহে রমজান। আল্লাহ তায়ালা বলেন,রোজা একজন রোজাদারকে তাকওয়া বা খোদাভীরু তার পথে অগ্রসর করতে পারে যদি উক্ত রোজাদার রোজার হক আদায় করে রোজা পালন করতে পারে।পবিত্র রমজান আমাদের মাঝে আসলে আমাদের ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে একটা পবিত্রতার ছোয়া দেখা যায়। মাহে রমজান আসলে আমরা আল্লাহর ইবাদতে বেশী করে মাশগুল থাকি এবং আল্লাহর ভয়ে সকল প্রকার গোনাহ থেকেও আমাদের যথাসাধ্য বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।এই রমজান মাসেই অবর্তীণ হয়েছে বিশ্ব মানবতার চির কল্যানের হেদায়েত গ্রন্থ আল কুরআন।আর আল কুরআন হচ্ছে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী একমাত্র পূণাঙ্গ জীবন বিধান। পূণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে একমাত্র আল কুরআনেই রয়েছে বিশ্ব মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি।মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনেই কুরআন সম্পর্কে এরশাদ করেন , ‘হুদাল লিন নাস’ অর্থাৎ এই কুরআন পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য হেদায়েত বা পথ প্রদর্শক হিসেবে কেয়ামত পর্যš আলো দিয়ে যাবে । যে কোন মানুষ এ গ্রন্থ থেকে হেদায়েত লাভ করতে পারবে। এই কুরআন যেমন নিদৃষ্ট কোন জাতির বা এলাকার জন্য অবর্তীণ হয়নি তেমনি ভাবে এটা কোন নির্ধরিত সময়ের জন্যও অবর্তীণ হয়নি অর্থাৎ এই কুরআন সর্ব যুগের এবং সব মানুষের জন্যই মহা মুক্তির মহা সনদ হিসেবে পথ প্রদর্শন করে যাবে। আর আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এ ঘোষনাও দিয়েছেন যে, ‘আর যদি তোমরা এ মাস পাও তবে তোমরা এ পবিত্র মাসে রোজা পালন করবে কারণ রোজা তোমাদের মনে আল্লাহর ভয়কে জাগ্রত করবে। আর রমজানের প্রতি দিন-রাতে আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানের একটি দোয়া কবুল করে থাকেন।
	সর্বশেষ
	
				- নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসন নতুন করে সাজানো হবে; নভেম্বরে শুরু নতুন ডিসিদের নিয়োগ
- দাবি না মানলে কাল থেকে পোলট্রি খাত বন্ধের হুঁশিয়ারি
- সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের অনুমতি মিললেও নেই পর্যটকের সাড়া
- অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা : বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার
- বিপুল, হাজী সুমন, শাহারুল,বিপু,হিটার নয়নসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- যশোরের আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ঢাকায় আটক
- বিএনপির আমলে বেকারদের বিনা পয়সায় চাকরি দিয়েছি
- লালনের গানে গানে শিল্পী ফরিদা পারভীনকে স্মরণ

