মুহাদ্দিস শাফিউর রহমান আফসারী ॥ রমজান কুরআন নাযিলের মাস। এ পবিত্র মাসে পবিত্র কুরআন লওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আসমানে আসে এবং বাইতুল ইযযাহ নামক স্থানে সংরক্ষিত ছিল। সেখান থেকে আল্লাহর তায়ালার ইচ্ছামত এবং আল্লাহর হিকমতের চাহিদা মোতাবেক জীব্রাঈল (আ:) মহানবী (স:) এর কাছে তার খেদমতে পেশ করতেন।এবং দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে কুরআন নাযিল অব্যাহত থাকে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, রমজান এমন একটি মাস যে ,মাসে নাযিল হয় আল কুরআন। আর আল কুরআন হচ্ছে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী একমাত্র পূণাঙ্গ জীবন বিধান। পূণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে একমাত্র আল কুরআনেই রয়েছে বিশ্ব মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি।মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনেই কুরআন সম্পর্কে এরশাদ করেন , “হুদাল লিন নাস”অর্থাৎ এই কুরআন পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য হেদায়েত বা পথ প্রদর্শক হিসেবে কেয়ামত পর্যš আলো দিয়ে যাবে । যে কোন মানুষ এ গ্রন্থ থেকে হেদায়েত বা ইহকালিন ও পরকালিন মুক্তি লাভ করতে পারবে। এই কুরআন যেমন নিদৃষ্ট কোন জাতির বা এলাকার জন্য অবর্তীণ হয়নি তেমনি ভাবে এটা কোন নির্ধরিত সময়ের জন্যও অবর্তীণ হয়নি অর্থাৎ এই কুরআন সর্ব যুগের এবং সব মানুষের জন্যই মহা মুক্তির মহা সনদ হিসেবে পথ প্রদর্শন করে যাবে। এবং পবিত্র কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীর মানুষদের জন্য এমনি একটি শাšি ও রহমতের গ্রন্থ যার যথার্থ অনুস্বরণ আজো এই অশাš পৃথিবীতে শাšি নিশ্চিত করতে পারে। আর আমাদেরকেও মাহে রমজানে পরিকল্পনা করতে হবে কুরআন নাজিলের মাসে কুরআন পড়ব,বুঝব এবং কুরআনের আলোকে আমরা আমাদের ব্যক্তি,সমাজ ও পরিবার গঠন করব। আর এ জন্য রমজান মাস আসলে প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানকে আল্লাহর এ ফরজ ইবাদত পালন করতে হবে। তবে আল্লাহপাক এরশাদ করেন, “ লা ইয়ুকাল্লি ফুল্লাহু নাফছান ইল্লা উসআহা ” অর্থাৎ আল্লাহ কোন জাতি বা ব্যক্তির উপর এমন কোন বোঝা চাপিয়ে দেন না, যা উক্ত ব্যক্তি বহন করতে না পারে। এজন্য রমজান সমাস আসেলেও যারা রোগাগ্রস্ত ব্যক্তি, সফরে থাকা ব্যক্তি, দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা, বার্ধক্যগ্রস্ত দূর্বল ব্যক্তি এবং আল্লাহর পথে জিহাদে বা যুদ্ধে থাকা ব্যক্তির জন্য আল্লাহ পাক অবকাশ দিয়েছেন যে, তারা রমজান পরবর্তী সুবিধামত সময়ে রোজা পালন করতে পারবে। আর যদি বার্ধক্যগ্রস্ত দূর্বল ব্যক্তির পক্ষে কোন ভাবেই রোজা পালন করা সম্ভব না হয় তবে উক্ত ব্যক্তি রোজার কাফফারা হিসেবে একজন গরীবকে রোজার মাস ব্যাপি আহারের ব্যবস্থা করবে।