কল্যাণ ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের বিভিন্ন খাতে অনেক উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার যুব উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ঋণসহ সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশ এরই মধ্যে মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
এখন আর গরু বা অন্যান্য পশু আমদানি করতে হচ্ছে না। গবাদি পশুর খামার সৃষ্টির ফলে আত্মকর্মসংস্থান বেড়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘ঢাকা ক্যাটল এক্সপো-২০২৩’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের যুবসমাজকে আত্মকর্মসংস্থানে উৎসাহিত করতে ঢাকা ক্যাটল এক্সপোর আয়োজন করা হয়। এতে দেশের যুবসমাজ উদ্বুদ্ধ হবে। বেশি বেশি এ ধরনের এক্সপোর আয়োজন করা দরকার। এতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০২৬ সালে আমরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছি।
দেশের রপ্তানি বেড়েই যাচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালে দেশের রপ্তানি ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। করোনার মাঝেও গত অর্থবছরে ৬১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এসেছে, এ বছর ৬৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বেশি সময় লাগবে না।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্যাটল ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রমজান আলী ড্যানী।
এবারই প্রথম ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ক্যাটল এক্সপো। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে এ প্রদর্শনীতে গবাদি পশু কেনাবেচার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বরং গবাদি পশু দিয়ে করানো হয়েছে র্যাম্প শো।
আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশের ক্যাটল ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না এ প্রদর্শনীতে। ক্রেতা ও দেশবাসীর কাছে বিভিন্ন ধরনের গবাদি পশুর প্রদর্শনী এ এক্সপোর মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতে আবারও এ ধরনের মেলা আয়োজনের কথা ভাবছেন আয়োজকরা।
প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া গরুগুলোর কোনোটির নাম ফুটবলের তারকা প্লেয়ার মেসি, রোনালদো, আবার কোনোটির নাম পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনায়ক দেব, জিৎ। রঙিন আলো ও বাজনার মধ্যদিয়ে ঝলমলে পোশাক পরে গরুগুলো হেঁটেছে দর্শকের সামনে দিয়ে। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে এ র্যাম্প শো। ছোট ভুট্টি প্রজাতির গরু থেকে বিশালাকার ১ হাজার ৫০০ কেজির মহিষ, রংবেরঙের ‘পোশাকে’ সাজানো গবাদি পশু নিয়ে দর্শকের সামনে দিয়ে হেঁটে যান খামারের সদস্যরা।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খামারিরা তাদের পোষা প্রিয় পশু নিয়ে এসেছেন প্রদর্শনীতে। প্রায় ১৫০টি খামারের সদস্য অংশ নেন এ প্রদর্শনীতে। গরু-মহিষ ছাড়াও ছাগল নিয়ে উপস্থিত হন কিছু খামার মালিক।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের কাছে মৃত নদীর মতো