আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে গত ছয় সপ্তাহে প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) জাতিসংঘের তথ্যমতে ১০ জন নিহত হয়েছে। এএফপি ও বাসস জানিয়েছে ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়ালেই হামলা ও গুলিবর্ষণ করছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বারবার হতাহতের খবর পাওয়ার পর তারা সেনাদের প্রতি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কাতারে পরোক্ষ আলোচনা চলছে। তবে গাজায় হামলা থামায়নি ইসরায়েল।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, তিনি আশা করছেন ৬০ দিনের যুদ্ধ বিরতির জন্য একটি চুক্তি হতে পারে এবং এরপর তিনি যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের জন্য আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
এদিকে হামাস বলেছে, আলোচনায় অবাধ সাহায্য প্রবাহ একটি প্রধান বিষয়, কারণ গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষুধা ও রোগের ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন।
গত মে মাসের শেষের দিকে সাহায্যের ওপর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত অবরোধ শিথিল করতে শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
তবে সেখানে ত্রাণ দেওয়ার কাজ করছে ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। তাদের ত্রাণ কাজ পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ জাতিসংঘ। জিএইচএফের ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে বেশি মারা যাচ্ছে মানুষ।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী যেসব জায়গায় তৎপর সেই জায়গাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করে আসছে জিএইচএফ। সেখানে ত্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করা শত শত ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পর জাতিসংঘ জিএইচএফ-এর ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতিকে ‘মূলত ঝুঁকিপূর্ণ’ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার নীতিমালার লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছে।