মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
দরিদ্রতা থেকে মুক্তি পেতে চোখে-মুখে তার নানান স্বপ্ন। অবশেষে ২০১৬ সালে ৭৫ হাজার টাকায় একটি গাভি কিনে তার অভাব মোচনের পথ পাড়ি দেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার খামারে ১৪টি গরু রয়েছে।
গাভি পালনে যিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন তার নাম শরিফুল ইসলাম। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের সাতপোতা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে।
শরিফুল ইসলাম জানান, একটি গাভি দিয়ে শুরু করেন খামার। ২০১৬ সালে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেন ওই গাভি। খামারে বর্তমানে তার ছোট-বড় মিলে ১৪টি গরু রয়েছে। সাতটি বিক্রি করে আয় হয়েছে ১০ লাখ টাকা। ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন আরও চারটি গরু। যার বাজার মূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আশা করছেন তিনি। গরুর খাবারের জন্য দুই বিঘা জমিতে ঘাসের চাষ করেছেন বলে জানান। শরিফুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর সাথে আমি সন্তানের মতো গরু লালন পালন করি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আতিবুর রহমান বলেন, খামারিদের আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি এবং বিনামূল্য গরুর চিকিৎসা প্রদান করে থাকি। শরিফুল উদ্যাক্তা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। তার দেখাদেখি অনেকেই গরুর খামার গড়ে তুলছেন।