কল্যাণ ডেস্ক
চব্বিশের ৫ আগস্টের পর দীর্ঘদিন গুমদশা থেকে উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের বর্ণনা শুনলে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়। আর গুমের শিকার ব্যক্তিদের থাকার নারকীয় সেসব স্থান দেখলে তো গা শিউরে ওঠে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ; যেখানে গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আর এ ধরনের মামলায় অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার বিধানও রাখা হয়েছে।
সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন গুমের শিকার ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমান।
তিনি বলেন, পরবর্তী নির্বাচিত সংসদকে এই অধ্যাদেশ অনুমোদন দিতে হবে এবং কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া এর পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রয়োগ আমরা দেখতে চাই। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে সরকারের দায়িত্ব, গুমকে কেন্দ্র করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করা।
অবশ্য গুম নিয়ে কাজ করা মানবাধিকারকর্মী সানজিদা ইসলাম তুলির মত কিছুটা ভিন্ন। শুধু গুমের নির্দেশদাতাই নয়, বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, একটা গুমের ম্যাকানিজমে বিভিন্ন মানুষ যুক্ত থাকে। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন যুক্ত থাকে। তাদের শাস্তির বিধানটা একই রকম কেন হবে? আমার মনে হয়, শাস্তির লেবেলটা ব্যতিক্রম হওয়ার কথা। তাহলে সর্বনিম্ন শাস্তি কী? ভুক্তভোগীদের যা চাওয়া, সে অনুযায়ী আইনের প্রয়োগ হচ্ছে না। আইন বারবার পরিবর্তন হচ্ছে।
একইসাথে ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তাও জরুরি বলে মনে করেন ব্যারিস্টার আরমান ও সানজিদা তুলি।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার গুম কমিশন গঠনের পর ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ জমা পড়ে; যার ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
