নিজস্ব প্রতিবেদক
আকাশ মেঘলা থাকায় দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। সেই সাথে কুয়াশা ছিল । বৃষ্টিও হয়েছে গুড়ি গুড়ি। তবে দুপুরে দিকে ক্ষণিকের জন্য উঁকি দেয় সূর্য। ফলে শনিবার যশোরে শীত আরো অনেক বেশি মাত্রায় অনুভূত হয়। আর এ রকম বৈরী আবহাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষজন দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে। নাগরিক জীবনেও ঘটে ছন্দপতন। গতকাল খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সাতক্ষীরায়। এই জেলায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়ায়স। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্রমতে, এরকম মেঘলা আকাশ ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আরো দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া কয়েকদিন ধরে শীতের মাত্রা বেশি থাকায় শিশু ও বয়স্কারা জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোয় এসব রোগাক্রান্ত রোগির সংখ্যা বাড়ছে।
শহরের পালবাড়ির রিকশা চালক আজিজুল মোল্লা বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হতে পরিনি। বেশ ঠান্ডা বাতাস বইছে। এরকম আবহাওয়ায় রিকশা চালানো কষ্টকর। সারাদিন আয় রোজগার বন্ধ।
নির্মাণ শ্রমিক রেজাউল ইসলাম বলেন, সকালে কাজে বের হতে পারিনি এই আবহাওয়ায় সিমেন্ট পানির কাজ করা য়ায় না। তার ওপরে আকাশ মেঘলা। বৃষ্টির কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শহরের দড়াটানা ওয়ালটন গলির চায়ের দোকানদার আসাদুল ইসলাম বলেন, গত ৩-৪ দিন ধরে এই অবস্থা সারাদিনে ১০ টা বিক্রি করাই মুশকিল। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বেচাকেনা বন্ধ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমের লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করায় খুলনা বিভাগের কয়েক জায়গায় হালকা বা গুড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে।