নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্রেপ্তার এড়াতে নাম-পরিচয় পাল্টে আত্মগোপনে ছিলেন ইব্রাহীম ওরফে খলিলুর রহমান (৫১) নামে সাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এমনকি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে নিজের নাম রাখেন সুমন ইসলাম। করেন তৃতীয় বিয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। র্যাবের জালে ধরা পড়েছেন তিনি।
শনিবার রাতে তাকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর রোববার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব যশোরের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইব্রাহীম ওরফে খলিলুর রহমান ঝিকরগাছার পদ্মপুকুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। যশোরের ঝিকরগাছা থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তাকে ২০০৯ সালে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দেন আদালত।
র্যাব সূত্র মতে, পেশায় রাজমিস্ত্রি সাজাপ্রাপ্ত ইব্রাহীম ওরফে খলিলুর রহমান গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনাম ব্যবহার ও ভুয়া এনআইডি কার্ড বানিয়ে তিনটি বিয়ে করেছেন। তিনি ১ম স্ত্রীকে রেখে মণিরামপুরের রাজগঞ্জ এলাকায় রেশমা নামে এক নারীর সাথে পরিচিত হয়। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রেম ভালবাসার ফাঁদে ফেলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ওই নারীর পিতা জেলার ঝিকরগাছা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ মাস জেলহাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর আত্মগোপন করতে ঢাকায় পালিয়ে যায়। আদালত এ মামলায় তাকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
সাজা থেকে নিজেকে বাঁচাতে নিজের নাম পরিবর্তন করে সুমন ইসলাম নামে ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করে যশোরে ফিরে আসেন। এরপর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন চাপাতলা এলাকায় ৩য় স্ত্রীর এলাকায় নিজেকে ভুয়া এনআইডির নাম সমুন ইসলাম নামে পরিচয় দিতে থাকেন। একইভাবে তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার করে বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অবস্থান করতে থাকেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে ঝিকরগাছা থানায় সোপর্দ করেছে।