কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি: উপজেলার ঘুগরাকাটি ফাজিল মাদ্রাসায় কমিটি গঠনে বিদ্যোৎসাহী পদে স্বাধীনতা বিরোধী ৩ জনের নাম আসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর রুকন গোলাম সরোয়ার ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা মাদ্রাসা সভাপতি সাত্তার পাড় গোপনে এমনটা করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, অধ্যক্ষ ও সভাপতি মাদ্রাসা বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর মাধ্যমিক শিক্ষক আসমাউল হোসেন, ব্যাংক কর্মচারি মনজুরুল ইসলাম ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহিনুর রহমান নাম উল্লেখ করে বিদ্যোৎসাহী নিয়োগের জন্য পাঠিয়েছেন। যে কারণে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ারের কাছে প্রতিবাদ করলে তিনি নাম বিদ্রোৎসাহী পদে পাঠাতে অস্বীকার করলেও গোপনে তা পাঠিয়েছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাগালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী বিদ্রোহী লীগের কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয় মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মাদ গাজী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান সামাদ গাজীসহ অনেকেই জানান, মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শীর্ষ জামাত নেতা জ¦ালাও পোড়াও আন্দোলনের একাধিক মামলার আসামি গোলাম সরোয়ার ঘুগরাকাটি ফাজিল মাদ্রাসাকে জামাযাত শিবিরের আস্তানায় পরিণত করেছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের কয়েকজন অধ্যক্ষকে সহযোগিতা করায় তিনি কমিটিকেও জামায়াতীকরণ করার চেষ্ঠা চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করা হবে।