নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে নির্মাণ হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত অক্সিজেন শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টে ভোগা রোগীদের দেয়া হবে। বাতাস থেকে মেশিনের মাধ্যমে অক্সিজেন ক্যাপসার করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেটা লিকুইটি করে সেটা হাসপাতালে রোগীদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। ফলে আগের মতো হাসাপাতালের রোগীদের জন্য বিদেশ থেকে অক্সিজেন কিনে আনা লাগবে না।
অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনে হাসপাতাল চত্বরে স্থান নির্ধারণে বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মাকসুদা খানমসহ পাঁচ সদস্যের একটি টিম যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। এ টিমে ছিলেন প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব শেখ মুজিবুর রহমান, প্রজেক্ট অফিসার অজয় নাথ, জাপাইগো বাংলাদেশ’র প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার (বায়ো মেডিকেল) মুমতাহিন কামাল ও ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশীদ ও আরএমও আব্দুস সামাদসহ কর্মকর্তরা।
প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দেয়। তখন দেশে ১০০টি হাসপাতালে ‘প্রেসার সুইং অ্যাডসর্পশন’ (পিএসএ) মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বা নিজস্ব অক্সিজেন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে সরকারি খরচে ৭১টি ও বাকি ২৯টি আমেরিকার অর্থায়নে ইউএসএইড ও গ্লোবাল ফান্ডের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হবে।

তিনি আরো জানান, দাতা সংস্থার অর্থায়নে নির্মিত ২৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্টের মধ্যে খুলনা বিভাগে রয়েছে চারটি। এরমধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালে একটি, কুষ্টিয়ায় একটি ও সাতক্ষীরায় দুটি। যশোরে নির্মাণ কাজ শেষে আমেরিকা থেকে দক্ষ লোকবল এসে তাদের খরচেই এক বছর ধরে সেন্টারটি পরিচালনা করবে। একই সাথে এখানকার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে। যাতে পরবর্তীতে অক্সিজেন প্ল্যান্টটি সহজে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে পারেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ডা. মাকসুদা খানম বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে পিএসএ মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য হাসপাতালের পুরাতন মর্গের সামনের অংশটি নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হবে। একার্যক্রম চালু হলে অক্সিজেন সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে। এ অক্সিজেন প্ল্যান্টে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য চারজন জনবল দিবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশীদ বলেন, ইউএসএইড ও গ্লোবাল ফ্যান্ডের সহযোগিতায় নির্মাণ করবে ইউএনওপিএস ও টেকনিক্যাল এসিসটেন্স হিসেবে থাকবে জাপাইগো বাংলাদেশ। তাদের উদ্যোগেই হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হচ্ছে একেবারে নিজস্ব অক্সিজেন তৈরির কারখানা। বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে তা মজুত রাখার প্ল্যান্ট গড়ে উঠছে হাসপাতাল চত্বরে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই এই প্রযুক্তির কাজ শুরু হবে। বাতাস থেকে সংগৃহীত অক্সিজেন মেশিনের মাধ্যমে ক্যাপসার করে ট্যাঙ্কে মজুত হবে। প্রয়োজন মতো সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে হাসপাতালে রোগীদের শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ হবে।
৪ Comments
Pingback: যশোরে ধর্ষণ মামলায় চিকিৎসক আটক
Pingback: সাতক্ষীরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
Pingback: ডলারের পরিবর্তে টাকায় নির্ধারণ হবে প্লেন ভাড়া
Pingback: গ্রীষ্মের এই গরমে শিশুর যত্নে করণীয়