খুলনা ব্যুরো: ফেসবুকে ভুয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শতাধিক বেকার তরুণ-তরুণীর চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগে খুলনার অগ্নি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নারীকর্মীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার দুপুরে খুলনায় র্যাব-৬ সদর দফতরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সারোয়ার হোসেন।
আটককৃতররা হলেন, অগ্নি কোম্পানির মূলহোতা যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের সৈয়দ আব্দুল গফফারের ছেলে সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ (৩১), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের আব্দুল সোবাহান মোল্লার ছেলে সাহাবুদ্দিন (৪০), ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২৮), একই উপজেলার গালুয়া গ্রামের ওয়াদুদ মিয়ার মেয়ে নাহিদ জাহান জুঁই (২৮) ও খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার বয়রা এলাকার ফারুকিয়া ক্রস রোডের আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০)।
তাদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ফোন, চারটি ল্যাপটপ, ৪০টি ভর্তি ফরম, ৪৫টি অঙ্গীকার নামা, একটি সিসি ক্যামেরার ডিভাইস, চারটি রেজিস্ট্রার এবং ৫৪ হাজার ২১০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সারোয়ার হোসেন জানান, গোয়েন্দা তৎপরতা ও বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৬ জানতে পারে খুলনা মহানগরীতে একটি প্রতারক চক্র ফেসবুকে চাকরি দেয়ার চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেকার তরুণ-তরুণীকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। র্যাবের স্পেশাল কোম্পানি আভিযানিক দলটিও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে প্রতারক চক্রটি বেশ কিছু তরুণ-তরুণীকে তাদের অফিসে আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে র্যাব-৬’র একটি দল খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা হাফিজনগর এলাকায় এনএইচ টাওয়ারের ছয়তলায় অবস্থিত অগ্নি কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রতারক চক্রের মূলহোতা সৈয়দ তানভীর আহম্মেদসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের হাতে আটক এবং ভুক্তভোগীদেরকেও উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য ও গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতারক চক্রটি তরুণ-তরুণীদের চাকরি দেয়ার নাম করে তাদেরকে অফিসে ডেকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করতো। এছাড়াও চক্রটি তাদেরকে আরো তরুণ-তরুণীদেরকে চাকরি দেয়ার নাম করে ফাঁদে ফেলার জন্য কাজ করতে বাধ্য করতো। আটককৃতদের নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তরসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে।