শাহারুল ইসলাম ফারদিন
যশোরের ঝিকরগাছা ও চৌগাছায় চার বছরে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে। সমৃদ্ধ ঝিকরগাছা ও চৌগাছাকে স্বপ্নের মডেল উপজেলা গড়ার লক্ষ্যে বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে বলে এলাকাবাসীর অনেকে মনে করেন।
বর্তমান সরকারের আমলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি, বিদ্যুৎ, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে এ উপজেলায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। চলমান রয়েছে আরো হাজার কোটি টাকার অসংখ্য ছোট, বড় উন্নয়ন প্রকল্প।
ঝিকরগাছার পৌরমেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সরকারের অবকাঠামো উন্নয়নে উপজেলার মান-মর্যাদা, পরিচিতি সারাদেশে আরো বিস্তৃত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন বরাদ্দ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়ে আসার পাশাপাশি নিজের যোগ্যতায় ঝিকরগাছা-চৌগাছা উপজেলাকে নানাভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ঝিকরগাছা ও চৌগাছা সৌন্দর্য বৃদ্ধি, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, কৃষিখাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা নিয়ে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেছেন।
তার নেতৃত্বে নির্বাচনী এলাকায় ১৫৩টি পাকা রাস্তা করা হয়েছে। ২৩০ কি.মি. ও ৩৬টি রাস্তা নতুনভাবে টেন্ডার প্রদান, ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭ টি পাকা রাস্তা প্রশস্তকরণ, সাত কোটি টাকা ব্যয়ে টিআর/কাবিখার টাকা দিয়ে মাটির কাজের পরিবর্তে ৩৩৯টি স্থানে গ্রামের মধ্যে ছোট ছোট রাস্তা ইটের সলিং, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭টি স্কুল ও কলেজের ভবন, ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি মাদ্রাসা ভবন, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি প্রাইমারি স্কুলের ভবন, দুটি মুক্তিযোদ্ধা ভবন, তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে আটটি ভূমি অফিস ভবন, দুটি এ্যাসিল্যান্ড অফিস ভবন, আইটি ভবন, ২১টি ব্রিজ ও কালভার্ট উন্নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ দুই হাজার চারশত ৮৭টি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ৪৭১টি মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য। জমি আছে ঘর নাই এমন পাঁচশত ১২ টি ও আটশত ৪৭টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান, প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রামের বাজার ও রাস্তার মোড়ে এক হাজার পাঁচশত ১০টি স্থানে সোলার স্টিট লাইট স্থাপন করে গ্রামীণ জীবনযাত্রা উন্নত করা হয়েছে। এছাড়া ঝিকরগাছায় রেল-স্টেশন ও ভবন নির্মাণ, গদখালীতে ফুল রাখার জন্য কোল্ডস্টোর নির্মাণ, ২০টি প্রতিষ্ঠানে ১০ লাখ করে টাকা প্রদান, সাতটি বাজার উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ (উপজেলার ভিতরে কাজ চলমান), ২৫২ জনের মাঝে (ক্যানসার, হার্ট ও প্যারালাইজড রোগী) এক কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বিতরণ, ৫৩ জন কৃষকের মাঝে হারভেস্টর, সিডর, বেড প্লানার, পটেটো ডিগার ম্যাশিন বিতরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ৭৬টি ঘর নির্মাণ (কাজ চলমান), দুটি আধুনিক ফায়ার ব্রিগেড তিন তলা ভবন স্থাপন, ২২ টি পিচের রাস্তা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দুটি নতুন ভবন স্থাপন, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসবভন নির্মাণ (চলমান), ঝিকরগাছা পৌরসভায় ২৩ কোটি টাকার কাজ ও চৌগাছা পৌরসভার কাজ চলমান, একটি প্রেসক্লাব ভবনের কাজ চলমান, অসহায় গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ঐচ্ছিক তহবিল হতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আর চৌগাছা থানা ২য় তলা বিশিষ্ট আবাসন বিল্ডিং নির্মাণ, শেখ রাসেল স্টেডিয়াম ও দুটি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ বেডে উন্নীত করে হাসপাতালের জন্য চারতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি-মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবা করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছি। দলের বঞ্চিত, নিপীড়িতদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। গত চার বছরে যা উন্নয়ন করেছি, অতীতে তা হয়নি। সাধারণ জনগণের সেবা করতে হলে জনগণের কাছে যাওয়ার পাশাপাশি পলিসি মেকিং বা নীতি নির্ধারণীতে থাকতে হবে। এমন মনোভাব থেকেই রাজনীতি জড়িয়ে পড়ি।
যশোর-২ আসনের মানুষের সুখে-দুঃখে আজীবন পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবো। তিনি বলেন, অর্থ সম্পত্তির প্রতি কোন লোভ-লালসা নেই। জনগণের সেবা করে তাদের ভালবাসা অর্জন করাই আমার রাজনীতির উদ্দেশ্যে।