নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁদাদাবিতে মারপিট অভিযোগের সাড়ে আট বছর পরে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফাসহ ১৩জনকে আসামি করে এই মামলাটি করেছেন।
অন্য আসামিরা হলেন, গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই শংকরপুর এলাকার সিদ্দিকুর রহমান ও গোলাম রসুল ডাবলু, মনিরুল আলম বাবলুর ছেলে মেরাজ আলম অগ্র, পিন্টুর দুই ছেলে জুয়েল ও রুবেল, হারান কলোনীর মোক্তার আলীর ছেলে শামিম, মৃত সাহাদৎ হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, আশ্রম রোডের আফসার উদ্দিন শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব, আকবর হোসেনের ছেলে রুবেল ওরফে মোটা রুবেল, মৃত হালিম মোল্যার ছেলে মুরাদ হোসেন, ধলু মিয়ার ছেলে সোহাগ হোসেন, গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত মোদাচ্ছের আলীর ছেলে মজিবর রহমান।
মামলায় বলা হয়েছে, বাদী একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী। আসামিরা সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি বাদীর কাছে আসামিরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে গোলপাতা মসজিদ মোড়ে বাদীকে একা পেয়ে আসামিরা পূর্বের দাবিকৃত টাকা চায়। রাজি না হলে তাকে মারপিট শুরু করে। এরপরে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বাদীর পকেটে থাকা দুই লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় আসামিদের ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে চলে আসেন। ওই সময় আসামিদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাননি। সম্প্রতি দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পরিবারের সাথে আলোচনা করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে যান বাদী। কিন্তু মামলাটি রেকর্ড করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় থানা কর্তৃপক্ষ। ফলে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলাটি করেছেন। বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।