এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ডিপ্লোমায় লেখাপড়া করেন জেএম রিয়াজ মোর্শেদ। বেসরকারি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরিও করেন তিনি। এক সময় চাকরি ছেড়ে শুরু করেন চাষাবাদ। এবার দ্বিতীয়বারের মতো ড্রাগন চাষ করেন। আর এতেই বাজিমাত।
মোর্শেদ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পৌর সদরের কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. মোজাম আলীর ছেলে। এবার তিনি সাড়ে ১২ বিঘা জমিতে ভিয়েতনামি, আমেরিকান ও থাইল্যান্ড জাতের লাল-হলুদ রঙের বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করেন। ক্ষেত থেকে মৌসুমে বিঘায় অন্তত দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এ ডিপ্লোমাধারী।
সোমবার মোর্শেদের ড্রাগন ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণ ড্রাগন গাছে ঝুলছে। গাছে অতিরিক্ত ড্রাগন ধরায় প্রতিদিন ড্রাগন তুলতে হচ্ছে। আকারে অনেক বড়। এ ড্রাগনের স্বাদ ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে।
কৃষক উদ্যোক্তা মোর্শেদ বলেন, ‘যশোর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পড়া শেষে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছিলাম। কিন্তু চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ হই। এখন আমার সাড়ে ১২ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ। আগে লাগানো ছিল আরও একবিঘা জমি।’
মোর্শেদ আরও বলেন, ‘ড্রাগন বাগান ছাড়াও এক বিঘা কলা, চায়না জাতের লেবু বাগান আছে দুই বিঘা। ২০২২ সালের শেষের দিকে ড্রাগন বাগান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করি। তারপর কাটিং রোপণ, খুঁটি লাগানো, পরিচর্যা ও জমি বর্গাসহ আনুমানিক ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ বাগানে ৬-৭ বছর ধরে ভালোভাবে ফল ধরবে।’
মোর্শেদ বলেন, ‘এ মাসে প্রায় চার লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি হয়েছে। আমি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে থাকতে চাই।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে লেখাপড়া শেষে চাকরি করছিল। চাকরি ছেড়ে কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছেন। সে ড্রগন চাষ করে সফল হয়েছেন। কৃষিকাজে শিক্ষিতরা এগিয়ে এলে কৃষি এগোবে, দেশ সমৃদ্ধ হবে।’