নিজস্ব প্রতিবেদক
চৌগাছার মাটিতে এখন চাষ হচ্ছে নানা ধরনের ফলের। তারমধ্যে নতুন ফল চায়না কমলালেবু। যা চাষ করেছেন কৃষক আমির হামজা মিলন। চলতি বছর তিনি দশ লাখ টাকার লেবু বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। ফল চাষে মিলন এখন চৌগাছার আইডল হয়ে উঠেছেন।
চৌগাছায় চায়না কমলালেবুর চাষ একেবারেই নতুন। নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে চৌগাছার কৃষক যে পারদর্শী তার আরও একটি উদাহরণ হয়ে থাকলেন উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সফল ফলচাষি আমির হামজা মিলন। এক সময় তিনি ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিজেই এখন সফল ফলচাষি।
নিজ গ্রামের মাঠে দেড় বিঘা জমিতে চায়না জাতের কমলা লেবুর চাষ করে পেয়েছেন ব্যাপক সাফল্য। গত বছর প্রায় ১০ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষক আমির হামজা মিলন জানান, প্রায় সাড়ে চার বছর আগে এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ভারত থেকে কিছু চায়না লেবুর চারা সংগ্রহ করি। এরপর ওই চারা থেকে নিজে কলম তৈরি করে দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৩শ চারা রোপণ করি। চারা রোপণের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ৫ লাখ টাকার লেবু বিক্রি করি। পরের বছর প্রায় ১০ লাখ টাকার বিক্রি হয়। এবার দশ লাখের বেশি লেবু বিক্রি হবে বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে লেবু বিক্রি শুরু হয়েছে। চৌগাছা, যশোর এমনকি খুলনা হতে ক্রেতারা এসে লেবু নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি মণ লেবু তিনি ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি করছেন।
তিনি বলেন, খুবই সহজ ও লাভজনক চাষ হচ্ছে চায়না লেবু চাষ। চারা ছোট থাকা অবস্থায় কিছুটা সার কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। তবে গাছে ফল এসে গেলে সার কীটনাশকের ব্যবহার কমে যায়। কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ফল চাষে প্রত্যেক চাষিই সাফল্য পাবেন- এতে কোন সন্দেহ নেই।
হাকিমপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, চায়না কমলালেবু নিঃসন্দেহে একটি লাভজনক চাষ। ফলচাষি মিলন এ ফসল চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্ক এতো টাকা দিয়ে কী করেন?
