নিজস্ব প্রতিবেদক
চারটি বিয়ে করেও নিজেকে কুমারী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে লিজা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শহরের বেজপাড়া তালতলা মোড়ের সাইফুল ইসলাম রানা এই মামলাটি দাখিলের পর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনি।
আসামি লিজা আক্তার সদর উপজেলার লেবুতলা-গহেরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
বাদী মামলায় বলেছেন, মোবাইল ফোনে ও ফেসবুকের মাধ্যমে আসামি লিজার সাথে তার পরিচয়। তবে আসামি লিজা নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেয়ায় দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে একদিন পরিবার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে বলে সাইফুলকে জানায় লিজা। তাছাড়া চলতি বছরের ১২ মার্চ ওই সময় সাইফুল তাকে বিয়ে না করলে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয় লিজা। বাধ্য হয়ে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্যে লিজাকে বিয়ে করেন সাইফুল ইসলাম। সাইফুল বিয়ের পরে লিজাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে সংসার করার কথা বলা হলেও তিনি রাজি হননি। বরং শহরের অন্যত্র বাসা ভাড়া করে লিজাকে নিয়ে সংসার করার জন্য সাইফুলকে চাপ দেয়া হয়। কিছুদিন পর সাইফুল জানতে পারেন লিজার এর আগে বোরহান নামে এক যুবকের সাথে একটি বিয়ে ছিলো। বোরহানের ঔরষে তিন বছর বয়সের একটি ছেলে আছে। গত ২০ আগস্ট সাইফুল হঠাৎ বাসায় গিয়ে দেখেন শহরের কেসমত নওয়াপাড়ার আবির হোসেন নামে এক যুবকের সাথে ঘনিষ্ট অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু সাইফুলকে দেখে আবির বলেন চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি এক লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে সে লিজাকে বিয়ে করেছেন।
এসময় লিজা সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়ে। এছাড়া গত ১ সেপ্টেম্বর কুমারী পরিচয় দিয়ে আব্দুর রহিম নামে আরো একজনকে বিয়ে করেছেন লিজা। আবির, বোরহান, আব্দুর রহিম এবং সাইফুল ইসলামসহ মোট চারজনকেই কুমারী পরিচয়ে বিয়ে করে ব্যাভিচারি আইনে অপরাধ করেছে লিজা। এসকল বিষয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে লিজাকে ডেকে জানতে চান সাইফুল। কিন্তু কোন জবাব না দিয়ে চলে যায়। ফলে কুমারী পরিচয়ে একে করে চারটি বিয়ে এবং ব্যাভিচারি আইনে অপরাধ করার ঘটনায় গতকাল আদালতে মামলাটি করা হলে বিচারক লিজার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।