নিজস্ব প্রতিবেদক: নার্সারি বদলে দিয়েছে বাসুদেবপুরের মানুষের জীবন। বহু মানুষের জীবিকার উৎস হয়ে উঠেছে চারা উৎপাদন। শুধু তাই নয় নার্সারি ব্যবসা সামাজিক অবস্থানও পাল্টে দিয়েছে । ভূমিহীন ও নিঃস্ব পরিবার থেকে উঠে আসা অনেকে জমি, বাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়েছেন। বাসুদেবপুরের বড় নার্সারি ব্যবসায়ীদের একজনের গল্পও ঠিক সেরকম।
আব্দুল হাকিম (ছদ্ম নাম)। বাসুদেবপুরের ধনাঢ্য বক্তিদের একজন তিনি। নার্সারি ব্যবসার মধ্য দিয়ে তার উত্থান। প্রচন্ড অভাবী ঘরের এই ব্যক্তিটি বহু জমিজমার মালিক হয়েছেন এখন। বাসুদেবপুরে ছাড়াও যশোর শহরে তার বাড়ি গাড়ি রয়েছে। অথচ তাদের এক সময় ছিল দিন আনি দিন খাওয়ার চেয়েও খারাপ অবস্থা। একশতক জমিও ছিলো না। আর এখন জমির মালিকতো হয়েছেনই, দালান বাড়ি, গাড়ি ও বাসুদেবপুরের বাইরেও রয়েছে ঘরবাড়ি।
একদম শুরুর দিকে নার্সারি গড়ে তুলে ধনীদের কাতারে পৌঁছেছেন। কিন্তু এতটাই অভাবী ছিলেন ভাতের কষ্টে তার মা বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে ফিরতেন। তবে নার্সারি শুধু বদলে দেয়নি তাদের জীবন-জীবিকা। একেবারে পাল্টে দিয়েছে আর্থিক-সামজিক অবস্থান। অন্যের পতিত জমিতে নার্সারি করে লাভবান হয়ে জমি কিনেছেন। বাড়ি করেছেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন।
নার্সারি ব্যবসায় সমৃদ্ধ হয়েছে বাসুদেবপুর। দেশজুড়ে নাম ছড়িয়েছেন এখানকার। বহু মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা হয়েছে নার্সারি ঘিরে। গোটা গ্রামের হালচিত্র বদলে দিয়ে রকমারি ফলদ, বনজ, মশলা ও ফুলের চারা ব্যবসা। এই গ্রামের মানুষের দেখাদেখি আশপাশের কয়েক গ্রামেও নার্সারির ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। রোহিতার আশাপাশের মানুষের কাছে মডেল গ্রামে পরিণত হয়েছে বাসুদেবপুর। শুধু তাই নয় স্থানীয়দের দাবি, বাসুদেবপুর থেকে খুলনা বিভাগ জুড়ে নার্সারি ব্যবসার প্রসার ঘটেছে।