নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিন সকাল ৯টায় এ তাপামত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে এ অঞ্চলে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা আবহাওয়া অফিস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান জানান, এদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর ৯টার দিকে রেকর্ড করা হয়েছে মৌসুমের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৭ ভাগ।
জানুয়ারির মাঝামাঝি তীব্র একটি শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে এ আবহাওয়া কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন এ জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে আরও বড় একটি শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমবে, ফলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।’
এদিকে হাড়কাঁপানো এই শীতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কষ্ট বেড়েছে শিশু ও বয়স্কদের।
সকালে স্থানীয় স’মিল শ্রমিক ভাদু মিয়া বলেন, ‘ঠান্ডায় কাঠ তুলতে পারছি না। শীতে হাত আকাটা হয়ে যাচ্ছে।’
এক ট্রাক্টর চালক বলেন, ‘ভোরে উঠে কাজে যেতে হয়। বাতাস আর শীতে ট্রলির ওপর বসে থাকা যাচ্ছে না। কী করব পেটের দায়ে বের হতে হয়েছে।’
পৌষের শেষ সময় গেল সপ্তাহজুড়ে এ জেলায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হয়েছে। সূর্যের দেখা মেলে না খুব একটা। মাঝে মধ্যে দেখা মিললে রোদটুকুই যেন আশীর্বাদ হয়ে ধরা দেয় এ জনপদের হাড়কাঁপানো শীতে কষ্টে থাকা মানুষের কাছে।