আবুল কাশেম জিয়া, রাজগঞ্জ: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নে হাইব্রিড জাতের ‘চেলাশিম’ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। আগাম জাতের এ শিম প্রথম দিকে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করেন চাষিরা। আর এখন তারা ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
চালুুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, উপজেলার চালুুয়াহাটি ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে শতাধিক চাষি উন্নত জাতের হাইব্রিড চেলাশিম চাষ করেছেন। এরমধ্যে হায়াতপুর, শাহাপুর, হাকিমপুর, রামপুর, হরিশপুর, রসুলপুর গ্রামে এ জাতের শিম বেশি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাহাপুর ও হায়াতপুরে মাঠ জুড়ে চাষ করা হয়েছে হাইব্রিড উন্নত জাতের চেলাশিম। মাঠে মাঠে কৃষক শিমের ক্ষেত পরিচর্যা করছেন, আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন।
৭২ শতক জমিতে উন্নতজাতের হাইব্রিড চেলাশিম চাষ করেছেন হায়াতপুর গ্রামের সোবহান মোড়ল। তিনি বলেন, ওই জমিতে সার, সেচ, কীটনাশক, বাঁশের চটি, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিনি দুই দফায় ৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। প্রথম দফায় ১০০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ৭০-৬০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেন।
তিনি আরো বলেন, আগাম জাতের এ শিম গাছ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যাবে। ৬ মাসে তিনি ২ থেকে ৩ লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন। একই গ্রামের হাইব্রিড উন্নতজাতের চেলাশিম চাষি মসিয়ার জানান, এখন শিমের দাম ভালো পাওয়া গেলেও শীত পুরোদমে পড়লে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করতে হবে।
হরিশপুর গ্রামের শিমুল হোসেন এক বিঘা ও রমজান আলী দেড় বিঘা জামিতে হাইব্রিড জাতের শিমের আবাদ করেছেন। তারা সকলেই শিম চাষে লাভবান হবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।