চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে আগাম বোরো মৌসুমের ধান কাটা। কাটা, মাড়াই আর পরিবহনে ব্যস্ত কৃষকরা। ধানের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন বুনেছেন এখানকার কৃষকরা।
বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের সমারোহ। পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিক। কাস্তের পাশাপাশি ধান কাটায় ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার।
চৌগাছার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে আগাম বোরো ধান কাটা। বসে নেই বাড়ির কৃষাণি-গৃহবধূ এমনকি শিশুরাও। নানা প্রতিকূলতার পরও ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানকাটা, মাড়াই আর পরিবহনে ব্যস্ত সবাই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দ্রুত কাটা হচ্ছে আগাম জাতের ধান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে চৌগাছা উপজেলায় ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সম্ভাব্য ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৮ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আগাম জাতসহ ব্রি-৫০, ব্রি-৬৩, ব্রি-৯২, ব্রি-১০০,ব্রি-২৮, বঙ্গবন্ধু, রডমিনিকেট, সুবলতা, বাসমতি জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে। বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা দরে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকরা।
উপজেলার ধূলিয়ানী ইউনিয়নের উজিরপুর এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, এবার ২০ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এর মধ্যে বাসমতি ও রডমিনিকেট জাতের ধান আবাদ করেছি। তিনি বলেন এবার জমিতে ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
লস্করপুর গ্রামের কৃষক কবির হোসেন বলেন, ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় বেশ খুশি কৃষক সোহরাব হোসেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন বলেন, এবার উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। উপজেলায় এবার ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৮ মেট্রিক টন।