নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে এক কৃষকের ৬টি গরু। এরমধ্যে দুইটি গরু মারা গেছে। বাকি দুইটি গাভী ও দুইটি বাছুর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মরণাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। মৃত গরুর মধ্যে একটি গর্ভবতী ছিল। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ গাভী দুইটিও গর্ভবতী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের স্বরুপদা পশ্চিম পাড়ার কৃষক তাহাজ্জেল হোসেনের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানায়, কৃষক তাহাজ্জেলের গোয়ালে আগুনের ঘটনা স্বাভাবিক ছিল না। তার গোয়াল ঘরের পাশে আগুনের কোনো উৎস নেই। কেউ হিংসাত্মাকভাবে এ ক্ষতি করেছে।
কৃষক তাহাজ্জেল হোসেন জানান, তারাবি নামাজ পড়ে গরুগুলোকে খাবার দিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১১টার দিকে গরুর ডাক চিৎকার ও পাটকাঠি পোড়ার চটপট শব্দে তার স্ত্রী ও তার ঘুম ভাঙে। ঘুম থেকে উঠে দেখেন গোয়ালঘরে ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুন দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। আগুন নেভার পর দেখা যায়, গোয়াল ঘরে থাকা তিনটি গাভী, তিনটি বাছুর ও দুইটি খাসি ছাগলের মধ্যে একটি বকনা বাছুর ও একটি গর্ভবতী গাভী পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হয় দুইটি গর্ভবতী গাভী ও বাছুরগুলো। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে কৃষক তাহাজ্জেল নিজেও আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তার তিনটি গাভী গর্ভবতী হলেও প্রতিদিন ৪-৫ কেজি করে দুধ দিচ্ছিল। দুধ বিক্রির টাকায় সংসার ভালোই চলছিল। মারা যাওয়া দুইটি গাভীর মূল্য আনুমানিক দুই লাখ টাকা এবং আহত দুইটি গাভী ও একটি বাছুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গাভী দুটির শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে।
কৃষক তাহাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারও এমন শত্রুতা নেই। কেউ হিংসা করে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করবো আমি।’
স্বরুপদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল কদর বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক। মানুষের সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে, তাই বলে অবলা নিরীহ প্রাণীকে হত্যা করে এ কেমন শত্রুতা!’
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’