নিজস্ব প্রতিবেদক
চৌগাছার বড়কাবিলপুর গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন (২৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই ঘটনায় নিহতের ভাসুর রুস্তুম আলীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়েছে। আটক রুস্তুম আলী একই গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।
পিবিআই পুলিশের এসআই সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে রুস্তুম আলীর ছোট ভাই মহিউদ্দিনের সাথে রহিমার বিয়ে হয়। মাঝেমধ্যে তাদের বিবাদ হতো। গত ২৫ মার্চ সকালে রহিমার সাথে রুস্তুম আলীর ঝগড়া হয়। তারই জের ধরে দুপুর ১২টার দিকে রুস্তুম আলী রহিমার ঘরে প্রবেশ করে শ্বাসরোধ করেন। এসময় রহিমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এগিয়ে আসে। কিন্তু ওই সময় রুস্তুম আলী ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় রহিমা আত্মহত্যাচেষ্টা করেছেন বলে প্রচার করেন এবং তিনি সেখান থেকে সটকে পড়েন। কিন্তু প্রতিবেশিরা এসে দেখে রহিমা ঘরের শয়নকক্ষের মেঝেতে পড়ে আছেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
কিন্তু রহিমার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং মুখে বিষের গন্ধ ছিল। এরপরে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ রহিমার সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তে শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। গত ৯ মে নিহতের স্বামী মহিউদ্দিন যশোর পিবিআই অফিসে এসে তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ করেন।
পিবিআইয়ের এসআই সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ ছায়া তদন্ত শুরু করেন। এরই মধ্যে ওইদিনই নিহত রহিমার ভাসুর রুস্তুম আলীকে আটক করেন। আটক রুস্তুম আলী পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে রহিমাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
