চৌগাছা প্রতিনিধি: সরকারি টেন্ডার ছাড়াই যশোর চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাঁওড়ের মূল্যবান গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বত্তরা। সম্প্রতি এই সরকারি মৎস্য প্রকল্পের আওতাধীন ডায়নার বিল বা মাঝের বিলের মূল্যবান মেহগনি ও বাবলা গাছগুলো বাঁওড় ব্যবস্থাপকের যোগসাজসে মনমথপুরের ইমরানের নেতৃত্বে কিলার শামীম ও ইউনুচ মেম্বর গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন চৌগাছা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম।
তিনি জানান, অতি সম্প্রতি যশোর পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার শামীমসহ হত্যা, মাদক, ছিনতাই মিলিয়ে ১৪টি মামলার আসামি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন এবং চৌগাছা সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বর হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি লস্করপুর গ্রামের ইউনুচ আলীর কাছে সরকারি মৎস্য প্রকল্পের আওতাধীন এই ডায়নার বিলটি অবৈধভাবে লিজ দিয়েছেন বাঁওড় ব্যস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন। তারপর থেকেই সরকারি টেন্ডার ছাড়াই এই গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। বিষয়টি ইতিমধ্যে উপজেলার আইন শৃঙ্খলার মাসিক সভায় উত্থাপন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ২১জুন সরেজমিনে বাওড় অফিসে ঢুকতেই অফিসভবনের সাথেই একটি চায়ের দোকান চোখে পড়ে। যেটি সম্পূর্ন অবৈধভাবে তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ইমরান। ডায়নার বিল বা মাঝের বিল ঘুরে দেখা যায় মেহগনি, বাবলাসহ অনেক মূল্যবান গাছ ইতিমধ্যে কেটে নেয়া হয়েছে। এবং কিছু গাছ কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন কেটে নেয়া গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য আনুমানিক পনের লাখ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের প্রকল্প পরিচালক আলফাজ উদ্দিন শেখ বলেন, সরকারি অনুমতি ছাড়া একটি গাছেও বাওড় ব্যবস্থাপক হাত দিতে পারবেন না। আর আমার জানামতে ওই গাছের কোনো টেন্ডার হয়নি। তবে আপনি উপজেলা প্রশাসনে একটু খোজ নিতে পারেন। বাঁওড় ও বিল লিজের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার কানে এসেছে। এ বিষয়ে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো।
গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, সরকারি নির্দেশনার বাইরে গাছ কাটার অধিকার কারো নেই। এ বিষয়ে আমার কাছে অনেক গাছ কাটার ছবি এবং অবৈধভাবে বাঁওড় ও বিল লিজ দেয়ার অভিযোগ আছে। বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানাবো।
বেড়গোবিন্দপুর বাওড় ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭৭৪-৬৬২১৭১) একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, বাওড় ও বিল লিজ দেয়ার পর থেকেই সাংবাদিকদের ফোনকল রিসিভ করেননা বাঁওড় ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন।