নিজস্ব প্রতিবেদক
জালিয়াতির অভিযোগে চৌগাছার সাবেক সাব-রেজিস্টার, চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার চৌগাছার নিরিবিলি পাড়ার আহম্মদ আলী পক্ষে মৃত শাহাদৎ হোসেনের মেয়ে শারমিন সুলতানা এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুবাইদা রওশন আরা অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শেখ তাজ হোসেন তাজু।
আসামিরা হলো, চৌগাছার সাবেক সাব-রেজিস্টার রফিকুল ইসলাম, সরুপদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল কদর, দলিল লেখক আনেয়ার হোসেন, আন্দারকোটা গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেন ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন এবং ছেলে ইনামুল হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৯ জানুয়ারি শাহদৎ হোসেন স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে মৃত্যু বরণ করেন। সে অনুযায়ী তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারিশ স্ত্রী ও দুই সন্তান। শাহদৎ হোসেনের মৃত্যুর পর থেকে মোফাজ্জেল হোসেন ও তার স্ত্রী-সন্তান আহম্মদ আলীর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত একপি জমি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ মোফাজ্জেল হোসেন ইউপি চেয়ারম্যানের ম্যাধমে মৃত শাহদৎ হোসেনের ছেলে হিসেবে মাহামুদুর রহমান মুক্তা নামে একটি জাল জন্ম সনদ তৈরি করে। এ জন্ম সনদ দিয়ে আসামি মোফাজ্জেল হোসেন আন্দারকোট মৌজার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত আএস ৮৪১ খতিয়ানের সাড়ে ১৮ শতক জমির জাল দলিল তৈরি করে। ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় চৌগাছা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে আসামি ফাতেমা খাতুনের নামে দলিল করে নেয়। আহম্মদ আলী জাল দলিলের বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গত চলতি বছরের ৭ আগস্ট সালিস ডাকেন। সালিসে আসামি মোফাজ্জেল হোসেন তার লোকজন জাল দলিল দেখিয়ে জমির দখল নিবে বলে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে কৃতপক্ষ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

 
									 
					