চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় ভৈরব নদের তীরের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। আর এই মাটি কৃষকের ফসলী জমির ওপর দিয়ে ট্রাক্টরের ট্রলি ও ড্রামট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে একদিকে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অন্যদিকে ভৈরব খননকরে জলাধার সৃষ্টির সরকারি উদ্যোগ বিনষ্ট হচ্ছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা স্থানীয়দের এমন একটি অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্টদের মাটি কেটে নেয়া থেকে নিবৃত করেন। ভবিষ্যতে যেন আর মাটি কেটে না নেয়া হয় সে বিষয়েও সতর্ক করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বেলা ১০টার দিকে উপজেলা শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বের চৌগাছা-আড়পাড়া সড়কের রোস্তমপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায় একটি স্কেভেটর মাটি কেটে ট্রাকটর দিয়ে তৈরি ট্রলিতে ভরে দিচ্ছেন। আর ৭/৮টি ট্রলিতে করে সেই মাটি ফসলি জমির ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ট্রাকটর উঠতে গিয়ে চৌগাছা-আড়পাড়া সড়কের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক মাটি কাটতে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করায় গ্রামের জনৈক মোমিনুর রহমান তাদর নানাভাবে বোঝাচ্ছেন।
মোমিনুর রহমান বলেন, পাতিবিলা গ্রামের সিদ্দিক এই মাটি কাটছেন। নাম প্রকাশ না করে মাঠের কয়েকজন কৃষক বলেন, আমাদের জমির ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেলা ১১টার দিকে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাটিকাটা গ্রুপটির নেতা পাতিবিলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে নদের মাটি কাটতে নিষেধ করেন। ইউএনওর আদেশে সেখান থেকে সরে গেলেও স্কেভেটর সরিয়ে নেননি। স্থানীয়রা বলছেন, রাতের আঁধারে আবারও মাটি কাটার জন্য স্কেভেটর সরাননি।
গত ৪ ডিসেম্বর স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্ব পুলিশ মুক্তদহ মোড় থেকে দুটি মাটি বোঝাই ড্রাম ট্রাক চৌগাছা থানা হেফাজতে নেয়। থানায় মুচলেকা দেন এভাবে আর মাটি কাটবেন না। স্থানীয়রা বলছেন, বারবার প্রশাসন বাধা দিেেচ্ছ আর তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।