ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিশনের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত শোনান স্বপ্নের কথা। তবে দুই ম্যাচেই শেষ হয়েছে নিজেদের টুর্নামেন্ট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দল হেরেছে ৫ উইকেটে। আইসিসি ইভেন্ট থেকে ছিটকে গিয়ে হতাশা ঝরলো শান্তর কণ্ঠে। জানালেন, সবাই এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই এসেছিল।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচেই চরম ব্যর্থতায় শেষ হয়েছে টাইগারদের টুর্নামেন্ট। প্রথম ম্যাচে দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রানের পুঁজি নিয়ে দল হারে ৬ উইকেটে। সোমবার রাওলাপিন্ডিতে ২৩৬ রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ড জিতে যায় ৫ উইকেটে। ব্যাট হাতে পুরো দল কার্যকরী ভূমিকা রাখতে না পারলেও বোলাররা নিজেদের কাজ করেছেন অনেকটাই। একপর্যায়ে স্বল্প পুঁজিতেও চাপে রাখতে পেরেছে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। ফিল্ডিংয়ে মনোযোগী হতে পারলে লড়াইটা হয়তো জমে উঠতো আরও। টুর্নামেন্ট থেকে নিশ্চিত বিদায়ের পর বোলারদের তাদের প্রাপ্যটুকু দিতে ভুললেন না শান্ত। তিনি বলেন, ‘(দলের ফের ব্যর্থতা) অধিনায়ক হিসেবে খুবই হতাশাজনক। আমাদের বোলিং ইউনিট যদি দেখেন, গত কয়েক বছরে আমরা দারুণ করেছি। আমাদের মানসম্পন্ন কিছু ফাস্ট বোলার ও স্পিনার আছে। একজন রিস্ট স্পিনার সবসবময় আমরা চেয়েছি। সেটিও এখন পেয়ে গেছি।’ দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে জোর দিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমদের যা রসদ আছে, এদেরকেই সুযোগ দিয়ে জায়গাটার পরিবর্তন আনতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে। আমি মনে করি এ জায়গাটা আমরা একটু হালকাভাবে নিচ্ছি। আরেকটু দায়িত্ব নিতে হবে।’ টসে হেরে বাংলাদেশ যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন একপর্যায়ে দলের রান ছিল ২ উইকেটে ৯৭। পরের ৬ ওভারে দলীয় ১১৮ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যেখানে সবচেয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের দলের হাল ধরার কথা সেখানে তারাও আউট বাজে শট খেলে। সিনিয়র বলেই মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর দলে জায়গা নিশ্চিত কিনা, এমন প্রশ্ন উড়ে আসে শান্তর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘এ দলে কেউ অটো চয়েজ নেই। সৌম্য টপ অর্ডারে ব্যাট করে এবং রিয়াদ ভাই লোয়ার মিড অর্ডারে।’ পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন শান্ত, ‘সৌম্য যদি খেলতো… কোথায়? আমাদের ব্যাটিং অর্ডার অনেক বেশি পরিবর্তন করতে হতো। রিয়াদ ভাইয়ের খেলা প্রয়োজন ছিল। তার শেষ চার-পাঁচ ইনিংসে দেখবেন রিয়াদ ভাই খুবই ভালো ব্যাটিং করেছেন। ওই জায়গায় রিয়াদ ভাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
৫০ ওভারের মধ্যে প্রায় ৩০ ওভারই ডট
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে টাইগারদের পুঁজি দাঁড়ায় ২৩৬ রান। এই রানগুলো এসেছে মূলত প্রায় ২০ ওভারে। ১৮১ বলই ডট দিয়েছে দলের ব্যাটাররা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মতে, মাঝের ওভারগুলোতে ঘনঘন উইকেট হারানোতে এবং বড় জুটি না গড়তে পারায় এত বেশি বল ডট হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ডট বল ছিল ১৫৯টি। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৩৪০ বল থেকে দলের খাতায় যোগ হয়েছে শূন্য রান। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘এ জায়গায় অবশ্যই উন্নতির জায়গা আছে। দেখুন, আমরা নিয়মিত তিনশ’ করি না। এটি সত্যি, মেনে নিতেই হবে। আজকের ডটের কথা যদি আপনি বলেন, আমরা ৫ ওভার, ১০ ওভার পরপরই একটি করে উইকেট হারিয়েছি। ওই জায়গায় ব্যাটারদের জন্য খুবই কঠিন যে কীভাবে স্ট্রাইক রোটেট করবে। এক-দুইটা বড় জুটি হলে এ ব্যাপারটি হতো না।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে ছিটকে পড়ল বাংলাদেশ