ঢাকা অফিস
একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চলছে। রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন আন্দোলনকারীরা। পাল্টা কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে মুন্সিগঞ্জে ২ জন, রংপুরে ২ জন এবং বগুড়ায় ২ জন, মাগুরায় একজন, কুমিল্লায় একজন এবং কিশোরগঞ্জে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনের সবশেষ খবর জানুন আমাদের লাইভ আপডেটে।
দুপুর ০২:০০- কুমিল্লা দেবীদ্বারে সংঘর্ষে ১ জন নিহত। দুপুরে সিলেট আঞ্চলিক সড়কে দেবীদ্বার বারেরা নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া।
কুমিল্লায় চান্দিনা ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ থানায় আগুন। অন্তত ২০ জন পুলিশ ফাঁড়ির ভিতরে আটকে পড়ে আছে।
দুপুর ০২:০০- বগুড়ায় সংঘর্ষে দুজন নিহত। কিশোরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
দুপুর ০১:৫৫- রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে দুর্বৃত্তদের আগুন।
দুপুর ০১:৫৫- রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় আন্দোলনকারীদের ইট পাটকেল নিক্ষেপ। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের পাল্টা টিয়ারশেল নিক্ষেপ।
দুপুর ০১:৫৫- রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সময় সংবাদের প্রতিবেদক জানিয়েছেন।
দুপুর ০১:৪৫- মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন। সকাল ১১টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুপুর ০১:৩৭- সিরাজগঞ্জের সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা: হাবিবে মিল্লালতের বাসায় আগুন।
দুপুর ০১:৩৩- নারায়ণগঞ্জে সড়ক মহাসড়কে আন্দোলনকারীদের অবরোধ। যান চলাচল বন্ধ। ফতুল্লায় বিভিন্ন গার্মেন্টসসহ নগরীর চাষাঢ়ায় পুলিশ বক্স ও রাইফেল ক্লাব ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ।
দুপুর ০১:৩২- রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ। নিহত ২; আহত ৩০।
দুপুর ০১:১০- রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড় সরকারদলীয় পক্ষের দখলে।
দুপুর ১:১০ আবারও দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ। রোববার (৪ আগস্ট) এক দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ এবং প্রাণহানিসহ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মোবাইল অপরেটর কোম্পানিগুলোকে এই নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।
দুপুর ০১:০৭- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বরিশালে বটতলার বাড়িতে হামলা। অর্ধশত মটর সাইকেল ভাংচুর, আগুন। বরিশালে বিএনপির অফিসে আগুন।
দুপুর ০১:০৪- টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এক জন গুলিবিদ্ধসহ আহত অন্তত ১০ জন। আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
দুপুর ০১:০০- রাজধানীর রামপুরায় উত্তেজনা। আন্দোলনকারী-আওয়ামী লীগ মুখোমুখি।
বেলা ১২:৫৮- লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সড়কে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ বক্স ভাংচুর, বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ।
বেলা ১২:৫১- চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনকারী ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। দুপক্ষের অনন্ত ৫০ জন আহত। শহরে থমথমে পরিস্থিতি।
বেলা ১২:৪৪- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
বেলা ১২:৪৪- ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর জেলখানা মোড়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থান। যান চলাচল বন্ধ।
বেলা ১২:৪৪- কিশোরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও ভাংচুর শেষে কিশোরগঞ্জ থানা ঘেরাও করেছে আন্দোলনকারীরা।
বেলা ১২:২৪- নড়াইল সদরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দফায় দফায় সংঘর্ষ। ছাত্রলীগকর্মী গুলিবিদ্ধ।
বেলা ১২:২৩- রাজধানীল বসুন্ধরা গেটে আন্দোলনকারীদের মিছিল।
বেলা ১২: ১৫- আন্দোলনকারীরা ধানমন্ডি-২৭ নম্বর মোড় ব্লকের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়ে। সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠি ও অস্ত্রসহ ধাওয়া দেয়। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর নতুন করে জমায়েত হচ্ছে।
বেলা ১২: ১৫- ঢাকার সিএমএম আদালতে হামলা, ভাংচুর। প্রিজন ভ্যান ভাংচুর।
বেলা ১২: ১৩- ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ২৫টি মোটর সাইকেল।
বেলা ১২: ১৩- কুড়িগ্রামের ঘোষপাড়ায় আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষ। চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। টিয়ারশেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ।
বেলা ১২: ১৩- রংপুরে পৌঁছেছে বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিশন। আগামী ৩ দিন আবু সাঈদসহ অন্যান্য নিহতের ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও তদন্ত কাজ পরিচালনা করবেন।
বেলা ১২: ০৮- রাজধানীর দনিয়া ও শাহবাগ এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধসহ আহত অন্তত ১০ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বেলা ১২: ০৫- পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছেন আন্দোলনকারীরা। জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ।
বেলা ১২: ৫৪- ফরিদপুরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও রুকসু ভবন ভাংচুর।
সকাল ১১: ৫৫- মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহত। আহত ৩৫।
সকাল ১১: ৫৪- ভোলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ। আওয়ামী লীগ অফিস, মোটরসাইকেল ও দোকান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। আহত ২০। সংঘর্ষ চলছে।
সকাল ১১: ৫১- যশোর শহরের চাঁচড়া মোড়ে অবস্থান নিয়ে বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।
সকাল ১১: ৪৮- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: ছাত্রদের কর্মসূচিতে একাত্মতা ও সহযোগিতা করতে সকল স্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান।
সকাল ১১:৪৫- খুলনায় আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
সকাল ১১:৩৭- ভোলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ চলছে।
সকাল ১১:৩০- রাজধানীল শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে গাড়িতে আগুন।
২০১৮ সালে সরকার চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকারের জারি করা পরিপত্র চলতি বছরের জুনের শেষে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুলাইয়ের শুরুতে মাঠে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা প্রথমে পরিপত্র ফিরিয়ে আনতে, অর্থাৎ কোটা না রাখার দাবিতে রাজপথে নেমে কোটা সংস্কারের দাবি জানান।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে এই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে সংঘাত হয়। এতে চট্টগ্রামে এক ছাত্রদল নেতাসহ তিন জন, ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ছাত্রলীগ কর্মী ও একজন হকার এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ নামে এক ছাত্র নিহত হন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৭ জুলাই জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সেদিন ঢাকার উত্তরা ও বাড্ডায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজনের প্রাণহানির পর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে থাকে। সেদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলা চালানো হয়। এরপর ১৮ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ সহিংসতা চলতে থাকে। বিশেষ করে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
এই পাঁচদিনের সহিংসতায় দেড়শ মানুষের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। আহত হন আরও কয়েকশ মানুষ। সংঘর্ষ থামার পর পুলিশ ব্লক রেইড দিয়ে গ্রেফতার অভিযানে নামে। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে গ্রেফতার অভিযান বন্ধ, হত্যার বিচারসহ নানা দাবি জানানো হতে থাকে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, মৃত্যু, গ্রেফতারে বদলে গেছে আন্দোলনের ধরন ও কর্মসূচি।
সবশেষ শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করে রোববার থেকে সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।