নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ইমন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচার এবং মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। গতকাল (৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি জানিয়েছেন হয়েছে সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মোল্যা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ইশারত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, যুব মহিলা লীগের সভাপতি কাজী শারমিন সুলতানা তমা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ আলী ক্লে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আলী প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে কচুয়া ইউনিয়নের নীমতলী টেকের বাজারে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাবকের নির্দেশে সন্ত্রাসীদের হামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আলীর উপর হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ইমরানকে উদ্ধার করতে সেখানে যান নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মদসহ প্রশাসনের লোকজন। ওই সময় কচুয়া ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাবকের মোবাইলে একাধিকবার রিং করে তার লোকজন দিয়ে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা না করানোর জন্য অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ। কিন্তু লুৎফর চেয়ারম্যান কোন গুরুত্ব দেননি। ওই রাতেই লুৎফর চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসমলাম ইমন খুন হন। একই সাথে ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ আলী ক্লে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আলী, তাদের সহযোগী অপু, শহিদুল ইসলাম ও বট্টুসহ কয়েকজন।
এই ঘটনায় নিহত রাকিবের পিতা সদর উপজেলার সাহাবাটি গ্রামের সাহাবুদ্দিন গাজী বাদী হয়ে নিমতলীর মোস্তাক হোসেন, হাফিজুর রহমান, ইকরাম হোসেন, সামাদ ধাবক, আফজাল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মোহাম্মদ গাজী, মামড়াখোলা গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিকী পলাশ, দেয়াপাড়া গ্রামের টিটো হোসেন, চাউলিয়া গ্রামের বাবলু বিশ্বাস ও ফারুক হোসেনসহ ১২ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এরমধ্যে ঘটনারদিনে একজন ছাড়া আর কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। রাকিবের খুনিরা ফেসবুকে নানা ধরণের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে বিভ্রান্ত করছে। পাশাপাশি লুৎফর চেয়ারম্যানের ভাইপো মফিজের বাড়িতে নিজেরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রামের নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার চেষ্টা করছে। একই সাথে রাকিব হত্যা মামলার স্বাক্ষী মোহাম্মদ আলী ক্লে ও ইমরান আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা একটি চাঁদা বাজি মামলা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিবের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার এবং তাদের মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।