নিজস্ব প্রতিবেদক
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যশোরে একটি ছাত্রাবাসের পরিচারিকাকে (৩৫) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে দায়েরকরা পিটিশন কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে।
আসামি করা হয়েছে যশোর পলিটেকনিক কলেজের ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র হেদায়েতুল ইসলামকে (২২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি খোদা বয়রা ডেন্নাবড়ি গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে।
ওই পরিচারিকা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামি হেদায়েতুল ইসলাম ওই কলেজে পড়াকালীন শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার লাইসিয়াম নামের একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন। ওই ছাত্রবাসে রান্নার কাজ করতেন ওই পরিচারিকা। ২০১৮ সালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি বাড়িতে কাজ করে এতিম সন্তানদের দেখভাল করতেন। আর সিতারমাপুর গ্রামের তার বোনের বাড়িতে থাকতেন। ২০২২ সাল থেকে তিনি ওই ছাত্রবাসে রান্নার কাজ করতেন। ছাত্রাবাসে কাজ করাকালীন আসামি প্রায় সময় তার রুমে ডাকতেন এবং নানা কুরুটিপূর্ণ কথাবার্তা ওই ইঙ্গিত দিতে থাকেন। তিনি তার কোন প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে কাজ করতেন। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান। ৬/৭ মাস আগে ছাত্রবাসে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে নির্জন রুমে ডাকেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে বিয়ের কথা বললে নানা তালবাহানা করেন।
গত ৩০ মার্চ হেদায়েতুল তার বোনের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সারারাত ওই বাড়িতে থাকেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সকালে তিনি চলে যান। পরে বিয়ের কথা বললে নানা তালবাহানা করে এবং এক পর্যায়ে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি গত ৬ মে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। পরে পুুলিশ গত ৭ জুন ওই পিটিশনটি কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।