শাহারুল ফারদিন
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। নতুন বই নিয়ে স্কুলে ছুটছেন শিক্ষার্থীরা। নতুন বইয়ের সাথে শিক্ষার্থীদের নতুন ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। সোনামনিদের আবদার মেটাতে অভিভাবকরা ছুটছেন ব্যাগের দোকানে। শহরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে ছেলেমেয়েদের জন্য পছন্দের ব্যাগ কিনে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। দোকানিরাও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী রং-বেরংয়ের নানা রকমের ব্যাগের পসরা সাজিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, সারা বছর বেচাকেনা কম থাকলেও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে বেচাকেনা দিনদিন বাড়ছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল ব্যাগ বেচাকেনার চাপ থাকবে।
শহরের এমএমআলী রোডে ব্যাগের দোকান আছে ২২টি, চুড়িপট্টি ১২টি ও পেন্সি মার্কেটে ১০টি। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি দোকান রয়েছে। গত এক সপ্তাহে এসব দোকানে বেচাকেনা হয়েছে ২০ লক্ষাধিক টাকার ব্যাগ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চায়না ব্যাগের পাশাপাশি দেশি ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। চায়না ব্যাগের মধ্যে সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে ম্যাক্স কোম্পানির ব্যাগ। যার সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে এক হাজার সাতশ টাকা মূল্যের স্কুল ব্যাগ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চায়না জিনকাজী কোম্পানির ব্যাগ। যার সর্বনিম্ন দাম ছয়শ থেকে এক হাজার সাতশ, প্রেসিডেন্ট ব্যাগ; যার দাম আটশ থেকে একহাজার ছয়শ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে দেশিয় ব্যাগের মধ্যে রয়েছে সিটিবি ও উইনার কোম্পানির ব্যাগ। সিটিবির ব্যাগ সর্বনিম্ন চারশ পঞ্চাশ থেকে সর্বোচ্চ সাতশ টাকা ও উইনার ব্যাগের সর্বনিম্ন চারশ পঞ্চাশ থেকে সর্বোচ্চ ৯শ টাকা।
বেচাবিক্রি বাড়ায় খুশি শহরের এমএমআলী রোডের ব্যাগ বিক্রেতারা। ব্র্যান্ড ক্যালেকশনের সত্ত্বাধিকারী শাহেদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বেচাকেনা একটু ভালো। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজ শুরু হয়েছে। এজন্য ব্যাগের চাহিদা বেড়েছে।
মঙ্গলবার যশোর শহরের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ছোটদেরকে নিয়ে স্কুল ব্যাগ কিনতে এসেছেন অভিভাবকরা। এমএম আলী রোগে ব্যাগ কিনতে আসা শহরতলীর নুরপুর গ্রামের শারমিন সুলতানা বলেন, তার ছেলে প্লে শ্রেণি থেকে নার্সারি শ্রেণিতে উঠেছেন। তিনি বলেন, ছেলে বায়না ধরেছে নতুন ব্যাগ কিনে দিতে হবে। এজন্য ব্যাগ কিনতে এসেছি। একই কথা বললেন শহরের বকচারের রহিতা আফরোজ। তিনি বলেন, গতবছর কেনা স্কুল ব্যাগ নষ্ট না হলেও নতুন বছরে নতুন ব্যাগ নিয়ে মেয়ে স্কুলে যাবে। তার স্কুল বন্ধুরা অনেক ভালো ভালো ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। বন্ধুদের দেখাদেখি তারও নতুন ব্যাগ চায়। তাই একটি ব্যাগ কিনতে এসেছি।
বেচাবিক্রি বাড়ায় খুশি শহরের এমএমআলী রোডের ব্যাগ বিক্রেতারা। ব্র্যান্ড ক্যালেকশনের সত্ত্বাধিকারী শাহেদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বেচাকেনা একটু ভালো। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজ শুরু হয়েছে। এজন্য ব্যাগের চাহিদা বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, বছরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল ব্যাগের বেচাবিক্রি বেশি হয়। তবে এবার গত কয়েকদিন শীত বেশি পড়ায় লোকজন বের হতে পারেননি। ধারণা করছি দু-একদিন পরেই বেচাবিক্রি বাড়তে পারে।
ব্যাগের দোকান ইত্যাদি’র ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম ও গোল্ডেন টাসের ব্যবসায়ী আল-আমিন জানান, বছরের শুরু থেকেই বেচাবিক্রি একটু বেশি থাকে। নতুন বছরে শিশুদের আবদারের পরিপ্রেক্ষিতে মূলত অভিভাবকরা নতুন ব্যাগ কিনে দেন।
এদিকে অভিভাবকদের দাবি গতবছরের তুলনায় এবার ব্যাগের দাম একটু বেশি। তবে ব্যাগ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য তাদের কেনা দাম বেশি। তাই বিক্রি দামও একটু বেশি।
১ Comment
Pingback: যশোরে কাগজের পোঁটলায় মোড়ানো দেড় কোটি টাকার সোনা উদ্ধার - Dainikkalyan