নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদরের বসুন্দিয়া জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী সংবাদ সম্মেলনের পরদিন পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাজিম উদ্দীন। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন তিনি। গত শনিবার দুপুরে একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে নাজিম দাবি করেন, জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী বিভিন্ন সময়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছেন। এ সকল বিষয়ে স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মামলাও করেছেন। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপরাধ করে তা ঢাকার জন্য তার অফিস রুমের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিক্স খুলে লুকিয়ে রেখেছেন। বসুন্দিয়া এলাকায় কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রধান শিক্ষকের অপকর্ম ঢাকতে সহযোগিতা করছেন। তবে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগটি কি কারণে তুলে নিয়েছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের সৎ উত্তর দিতে পারেননি নাজিম উদ্দীন।
এদিকে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষকের কাছে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করে নাজিম। তিনি এই টাকা দিতে না চাইলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এবং তারই জের ধরে প্রধান শিক্ষকের নামে ওই বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থী ও তাদের সরল সোজা অভিবাভকদেরকে ব্যবহার করে তার সম্মান ক্ষুন্ন ও নিজের অপরাধ ঢাকতে তাদেরকে ব্যবহার করে মিথ্যা শ্রীলতাহানির অভিযোগ করে থানায়। তবে পরবর্তীতে বিষয়টি বুঝতে পেরে সরে আসে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাকরা। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাল্টা চাঁদাবাজি মামলা করেছেন নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে।