নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের ষড়যন্ত্র, হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী।
শনিবার প্রেসক্লাব যশোরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলবাধাল গ্রামের বাসিন্দা নাজিম উদ্দীন বিভিন্ন সময় তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ করেন। কিন্তু বারবার অভিযোগের পর তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জুলফিকার আলী জানান, সর্বশেষ নাজিম উদ্দীন গত ১৮ মে আদালতে তার নিজের মেয়েকে ব্যবহার করে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ৮ মে দুপুরে প্রধান শিক্ষকের অফিসে তার মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়। কিন্তু ওইদিন দুপুর ১ থেকে ২টা পর্যন্ত অফিসে পরীক্ষা গ্রহণের মিটিং চলছিলো। যেখানে অন্য শিক্ষকরা ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জুলফিকার আলী বলেন, একের পর এক ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়েও যখন কোন কাজ হয়নি তখন আমাকে পরিবারসহ হত্যার হুমকি দিয়েছেন নাজিম উদ্দীন। তার ভয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে আমাকে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এমনকি আমার সন্তানও বিদ্যালয় যেতে ভয় পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি।
জুলফিকার আলীর দাবি নাজিম ও তার বন্ধু শফিক প্রতারণা আর ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকার সম্মানীয় মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকে। এছাড়াও ছাত্রদের কাছে নেশাদ্রব্য বিক্রি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কল রেকর্ডিং এবং আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেলিং করারও অভিযোগ রয়েছে। তার নামে থানায় মামলা থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্য কারণে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে জুলফিকার আলী আবেদন জানান দ্রুত প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আসবে এবং তিনিও পরিবার নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারবেন।
