নিজস্ব প্রতিবেদক
জরিমানা ও সিলগালা করেও থামানো যাচ্ছে না যশোর সিটি হাসপাতালের প্রতারণা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারা, চিকিৎসক না থাকা ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রতারণা করায় বিগত দিনে সিটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে হসপিটালের ম্যানেজার এসএম আল আমিন সুমন বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হসপিটালের কোনো কাগজপত্র ছাড়া প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ ব্যবহার করে চলছে ফার্মেসি। এ প্রতিষ্ঠানে রোগী ভর্তি হলে তাদের এ ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ৩ অক্টোবরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর আবু মাউদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে হাসপাতালটির ফার্মেসি ও কনসালটেন্ট ছাড়াই প্যাথলজি বিভাগ পরিচালনা করায় তাদের প্যাথলজি ও ফার্মেসি বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর আগে বিভিন্ন ক্লিনিকে নিম্নমানে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ জুলাই র্যাব-৬ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সিটি হাসপাতালসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করে।
যশোর সিটি হসপিটালের ম্যানেজার এস এম আল আমিন সুমন বলেন, অভিযোগ মিথ্যা। এখানে রোগীরা পরিপূর্ণ সেবা পেয়ে থাকেন। হসপিটালে ১৫টি ক্যাবিন ও মহিলা ওয়ার্ডে নয় ও পুরুষ ওয়ার্ডে আটি শয্যা আছে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৮জন রোগী ভর্তি থাকে। হাসপাতালের ইনডোরে তিনজন চিকিৎসক ৭জন নার্স রোস্টার চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এবং নিয়োমিত ৮জন চিকিৎসক চেম্বারে রোগী দেখেন। এছাড়াও বহিঃবিভাগে শুক্রবারে ১২ জন চিকিৎসক মিলে ৫০ থেকে ৫৫ জন রোগী দেখেন। তবে হাসপাতালে দুইজন সেবিকা ব্যতিত কোন চিকিৎসক ও প্যাথলজিস্টকে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, নামমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের অস্ত্রোপচার, চিকিৎসাসেবা প্রদান ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনার কোন সুযোগ দেয়া হবেনা। সরকারি নিয়মনীতি মেনেই ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা সুযোগ দেয়া হবে না। ইতিমধ্যে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।