নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে যশোরে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে যশোর শহরের দড়াটানা থেকে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের গাড়িখানা দিয়ে চৌরাস্তায় যেয়ে শেষ হয়। এর আগে, বিকাল থেকে শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জামাত বিএনপি কোন অপ্রতিকর ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে সেইকারণে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। একই সাথে যশোরে বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিকাল থেকে রাত অবধি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিজিবি, র্যাব, পুলিশের টহল দিতে দেখা যায়।
বিকাল থেকে শহরের ভৈরব চত্বরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে শোভাযাত্রা বরে করেন নেতৃবৃন্দ। শোভাযাত্রাটি দড়াটানা ভৈরব চত্বর থেকে শুরু হয়ে চৌরাস্তাতে যেযে শেষ হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত। নির্বাচন করতেও যেমন প্রস্তুত; অন্যদিকে কাউকে শায়েস্তা করার জন্যও প্রস্তুত রয়েছি। নির্বাচন নিয়ে কেউ সন্ত্রাসী করতে আসলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি ২৮ তারিখের পরে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তফশিলের পরে নতুন করে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিবে। বিএনপি হরতাল অবরোধ দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাই অগ্নিসন্ত্রাসে নেমেছে। যখন দিনে সড়কে মানুষ চলাচল করে; তখন বিএনপি আগুন সন্ত্রাসী করতে সাহস পায় না। তাই তারা রাতের আধারে বাসে আগুন দেয়। এসব ষড়যন্ত্র কঠিন হস্তে শেখ হাসিনা দমন করছেন। আগামি দিনেও করবে। আমরা আশা করি, সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিবে। আমরা বিএনপিকে আহ্বান জানাচ্ছি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। আসুন ভোটের মাধ্যমে জনগণের জনমত গ্রহন করি। জনগণ যদি ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে; তাহলে তারা ক্ষমতায় আসবে। তবে জনগণ সেটা চাইবে না। কারণ দেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, তাতে জনগণ আওয়ামী লীগের উপর আস্থা রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী রায়হান, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, হুমায়ুন কবির কবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর, শ্রম সম্পাদক কাজী আবদুস সবুর হেলাল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী উত্তম বর্ণ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাসার, উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপুসহ জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।