সুলাইমান হাওলাদার, মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট): বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিএড পাশের জাল সনদ দিয়ে ২০ বছর চাকরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযাগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুস সবুর তালুকদারের বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ধানসাগর পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক ভবতোষ কুমার মজুমদার ১৯৮৭ সালের ১৯ মার্চ ওই বিদ্যালয়ে বিএসসি শিক্ষক পদে যোগদান করেন। ২০০০ সালে বিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ সমাদ্দার অবসরে গেলে তিনি বাউবি থেকে বিএড পাশ করেছেন এমন সনদপত্র জমা দিয়ে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নেন । পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে ২০০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যান।
২০০১ সালের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের সময় দাখিলকৃত বাউবির বিএড পাশের ওই সনদপত্রটিতে ঘসা-মাজা করার চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে যে, ওই সময়ে তিনি বিএড পাশের যে সনদপত্রটি জমা দিয়ে চাকরি নিয়েছেন সেই সনদপত্রটি জাল। আর তিনি দীর্ঘ ২০ বছর যাবত বিএড পাশের জাল সনদ দিয়ে চাকরি করে অবৈধভাবে সরকারি বেতন-ভাতা তুলেছেন। বিদ্যালয়ে চাকরি করাকালীন তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান বলেন কোন অভিযোগ এখনও হাতে পায়নি । অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।
ভবতোষ কুমার মজুমদার তার বিএড সনদ সঠিক বলে তিনি দাবি করেন।
