শহীদদের ত্যাগ অবিস্মরণীয় : অমিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই-আগস্টের গণঅভুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের শহীদ তারেক রহমান ও শহীদ সিফাত ফেরদৌসের স্বজনদের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঈদের বিশেষ উপহার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করা হয়।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে সাথে নিয়ে ঈদ উপহার প্রদান করেন।
নেতৃবৃন্দ প্রথমে বলরামপুর গ্রামের শহীদ তারেক রহমানের পিতা ওলিয়ার রহমানের হাতে ঈদের বিশেষ উপহার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেন। বিশেষ উপহার পেয়ে কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন শহীদ তারেক রহমানের পিতা ওলিয়ার রহমান। পাশে থাকা হতভাগা মা নুরুন্নাহার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ছেলে হারানো পর বিএনপি নেতারা ছাড়া কেউ আমাদের খোঁজ রাখে না। এসময় তিনি তারেকের রেখে যাওয়া ৯ বছরের তানিস ফাতেমা তাজরিন ও আরাফ রহমান তেজোকে সামনে নিয়ে বলেন, এরা আমার বেঁচে থাকার সম্বল।
পরে নেতৃবৃন্দ একই ইউনিয়নের শাখারিগাতি শহীদ সিফাত ফেরদৌসের মা রওশন আরা বেগমের হাতে ঈদ উপহার ও শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেন। পরে এই প্রতিবেদক শহীদ ফেরদৌসের মায়ের সাথে কথা বলেন। ছেলের কথা বলতেই তিনি কান্নায় ভেড়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে আর পাব না। কিন্তু আমার মত হতভাগা মাকে সমবেদনা জানিয়ে তারেক রহমান ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন এটা আমি কোন দিন ভুলবো না। বিএনপিই এই প্রথম আমাদের জন্য ঈদের উপহার পাঠিয়েছে অন্য কোন রাজনৈতিক দল খোঁজ খবর রাখে না।
ঈদের উপহার প্রদান শেষে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতনে জাতীয়তাবাদী পরিবারের যারাই জীবন দিয়েছেন, প্রতি বছরই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের পরিবারের সহমর্মিতা জানান এবং সাধ্যমতো তাদের জন্য উপহার পাঠান। গেল ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যশোরের জাবির দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছিল, তারেক রহমান মনে করেন তারাও শহীদ। সেকারণে তাদের পরিবারকেও তিনি স্মরণ করছেন। তার পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ঈদের উপহার নিয়ে এসেছে। দল হিসেবে বিএনপিও আলদাভাবে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। আমরা মনে করি ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ তৈরির পেছনে সকল মানুষের অবদান আছে। বিশেষ করে যাদের পরিবারের সদস্যরা জীবন দিয়েছেন তাদের ত্যাগ অবিস্মরণীয়। আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি কিংবা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই এই সকল শহীদদের স্মরণ রাখার দায়িত্ব রয়েছে। তাদের আত্মত্যাগকে যথাযথ সম্মান দেওয়া এবং তাদের পরিবারের সকল সংকটে পাশে দাঁড়ানো। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সেই বার্তাটি দিতে চেয়েছি।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য ডা. আলাউদ্দিন আল মামুন, ডা. এ এস গাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, যশোর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসিম জামান রিফাত, যশোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রাসেল, বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল প্রমুখ