নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের সন্ত্রাসী জুম্মান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার আত্মসমর্পণের পরে বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। রাকিব যশোর শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতাল মোড়ের কাজী তৌহিদের ছেলে। এরআগে এই মামলার আরো পাঁচ আসামিকে র্যাব আটক করেছিল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে জুম্মান হোসেন ছিলেন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ডজনখানেক মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আধিপত্য ধরে রাখতে যখন মরিয়া তখন প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। পাশাপাশি তাকে খুন করতে সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জুম্মান যশোর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণপাশে একটি রাজনৈতিক অফিসের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী এসে তার উপর হামলা করে। এক পর্যায় তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনায় নিহত জুম্মানের ভাই মামুন হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনের বিরুদ্ধে খুলনা জিআরপি থানায় মামলা করেন। যশোরের র্যাব সদস্যরা এই মামলার আসামি যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে শুভ, বেজপাড়ার বিহারি কলোনীর ইমান আলী ড্রাইভারের ছেলে সবুজ, চাঁচড়া রায়পাড়া তুলোতলার জাফরের ছেলে সজিব এবং পুলেরহাট-কৃষ্ণবাটির বাবুর আলীর ছেলে মোহাম্মদকে আটকরে পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এছাড়াও এই মামলার আসামি শংকরপুরের বিপ্লবকেও পুলিশ আটক করে।
এদিকে এই মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিনের জন্য আবেদন করে। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
এই মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হলো, রায়পাড়ার রিপনের ছেলে প্রিন্স, কামরুজ্জামান কালা বাবুর ছেলে রনি, শংকরপুর আশ্রম রোড শাহনাজ হোটেলের পিছনে তরিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল ওরফে কপালকাটা রুবেল, খড়কি কলাবাগান এলাকার রবি ওরফে ছোট রবি, চাঁচড়া রায়পাড়া ইসমাইল কলোনীর আব্দুল আলিম ওরফে ঢ্যাপ পকেটমারের ছেলে সাগর, রায়পাড়া তুলোতলার কিছলু কাজীর ছেলে শাহিন এবং কাজী খালিদ হোসেনের ছেলে ইমন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই শাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণকারী সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিবকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।