সব উপজেলা চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে
সাবেক ছাত্রলীগের ক্লিন ইমেজের নেতাদের নেই পদ-পদবী
নতুন নেতৃত্ব গড়ে ওঠার প্রধান বাঁধা দলীয় কোন্দল
ফের বেহাত হতে পারে সংসদীয় আসনগুলো
সুনীল ঘোষ: সুস্থ রাজনীতির চর্চা নেই আওয়ামী লীগের দুর্গ যশোরে। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানী ও গ্রুপ রাজনীতি দলটির ভীত নড়বড়ে করে তুলেছে। স্বার্থের রাজনীতির প্রভাবে দূর নির্বাসনে গেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি। যে কারণে গতি নেই দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রমে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে সব উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। মূল নেতৃত্বের কোন্দল সহযোগী সংগঠনগুলোকেও এগোতে দিচ্ছে না। ফলে ক্লিন ইমেজের নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না। এর জন্য ‘মাই ম্যান’ রাজনীতিকে দুষছেন দলটির প্রবীণ ও তরুণ নেতারা। রাজনীতি সচেতন মহল মনে করেন সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই আওয়ামী দুর্গে আঘাত আনতে পারে সরকার বিরোধীরা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন ঘিরে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যরূপ নেয়। প্রতিটি নির্বাচন ও কমিটি গঠনকে ঘিরে এখানে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হয়। অভ্যন্তরীণ এই কোন্দল নিস্পত্তির বদলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়েন বলে অভিযোগ শোনা যায়।
এতকিছুর পরও যশোরের মানুষ জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, পৌর ও ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকেই ভোট দেন। যদিও সদ্য ইউপি নির্বাচনে নৌকার একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ভোটযুদ্ধে জিতেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নেয় ২০১৩ সালে। যশোর-৩ (সদর) আসনে কাজী নাবিল আহমেদকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করায় ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা রাতে শহরের ২৩ স্থানে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়া হয়। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই তান্ডবের কথা মনে করে এখনো অনেক ব্যবসায়ী আৎকে ওঠেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামে র্যাব।
২০১৫ সালে যশোর পৌর নির্বাচন ঘিরে লড়াই শুরু করেন নাবিল বনাম শাহীন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার তার চাচাতো ভাই জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুকে দলীয় প্রার্থী করার প্রস্তাব পাঠান। সদর আসনের এমপিসহ দলটির শীর্ষ নেতারা দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র এসএম কামরুজ্জামান চুন্নুর নাম প্রস্তাব করেন। এ লড়াইয়ে শাহীন চাকলাদার জিতে আসেন। তার প্রস্তাবিত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু নৌকার মাঝি হন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।
এর আগে-পরে ‘মাই ম্যান’ রাজনীতির ষড়যন্ত্রের শিকার হন বেশ কয়েকজন ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা। দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরীফ আব্দুর রাকিব, এসএম কামরুজ্জামান চুন্নু ও খান টিপু সুলতানসহ ডজনখানেক নেতা। তাদের কেউ প্রয়াত হয়েছেন, কেউ আবার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের দুই অংশ পৃথক স্থানে কর্মসূচি পালন করেন। শাহীন চাকলাদারের নেতৃত্বে একাংশের নেতাকর্মী শহরের দড়াটানায় ও কাজী নাবিল আহমেদ’র নেতৃত্বে উকিলবারে সমাবেশ হয়। দলটির আনুষ্ঠানিক বিভক্তি নিয়ে ওই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে।
আওয়ামী লীগের দুর্গ খ্যাত যশোরে এই বিভক্তি নিস্পত্তিতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কখনো উদ্যোগ নিতে শোনা যায়নি। উল্টো এ অবস্থার মধ্যে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এডভোকেট শহীদুল ইসলামকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সেই কমিটি প্রায় দুই বছর পার করেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়।
এর ফলে দলটির মধ্যে গ্রুপিং চরম পর্যায়ে ওঠে। একপর্যায়ে গ্রুপিং নিস্পত্তি ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি ফেরাতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের ২০ মাস পর ২০২১ সালের ৩০ জুলাই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১৯ জন উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন। এর মধ্যদিয়ে সভাপতি পদে শহিদুল ইসলাম দ্বিতীয়বার ও শাহীন চাকলাদার তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন।
দলটির একাধিক সূত্রের দাবি, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় বটে কিন্তু গ্রুপ ও স্বার্থের রাজনীতির কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম এগুতে পারেনি। অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। সেইসব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দলের কার্যক্রম। নতুন কমিটি গঠন ও নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার উদ্যোগ নেই। এর প্রভাব পড়েছে জাতির জনকের হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ দলটির সহযোগী সংগঠনগুলোতেও।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর সদর উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সদরে মোহিত কুমার নাথ সভাপতি ও শাহরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। শহর কমিটিতে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদকে সভাপতি ও এসএম মাহমুদ হাসান বিপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ঈদগাহ মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিকেলে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সদর ও শহর কমিটি গঠনের জন্য কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটাভুটিতে গঠিত এই দুই কমিটি বছর পার করেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে তালবাহনার অভিযোগ করছেন পদ প্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, ছাত্রলীগের সাবেক কমিটিগুলোর অনেক নেতা ক্লিন ইমেজের হওয়া সত্বেও বর্তমানে তারা দলের কোন পদ-পদবীতে নেই। তাদের দলের বাইরে রাখতে নানা রকমের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। স্বার্থের রাজনীতির বলি হচ্ছেন তারা।
দলটির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, করোনার কারণে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে না। অথচ নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশে কোনো কার্যক্রমই থেমে নেই।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত থাকায় অনেক সময় অযোগ্য ব্যক্তি দলটির সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পদ পেয়েছেন। অপকর্মের কারণে তারা রাজনীতি থেকে ছিটকেও পড়েছেন। সূত্রমতে, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রওশন ইকবাল শাহীকে সভাপতি ও সাল-সাবিল আহমেদকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তারা দু’জন জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন। দুই সদস্যের ওই কমিটি কখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি। পরে একটি হত্যাকে ঘিরে সালসাবিল আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়। একই সাথে জেলা ছাত্রলীগের কথিত ওই কমিটিকে বিলুপ্তি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয়।
তারপর বছরখানেক যশোরে রাজপথের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো কমিটি ছিল না। ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী লীগের গ্রুপ রাজনীতিতে জড়িয়ে নানা অপকর্মের তকমা পেয়েছেন।
২০২১ সালের ৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এক বছরের জন্য ২৩ সদস্যের একটি কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটতে সালাউদ্দিন কবির পিয়াস সভাপতি ও তানজিব নওসাদ পল্লব সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। কমিটিতে ৯ জন সহসভাপতি, ৬জনকে সহসম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পান আরও ৬ জন। এরই মধ্যে কমিটির মেয়াদ ১০ মাস পার হয়েছে কিন্তু তারা সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি ফেরাতে পারেননি। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কমিটির অনেকে গ্রুপ রাজনীতিতে জড়িয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছেন।
দলটির একাধিক প্রবীণ ও তরুণ নেতাকর্মী মনে করেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাংগঠনিক ভীত দুর্বল হয়ে পড়ছে। নেতাকর্মীদের কেউ হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানী ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছেন। কারো কারোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে।
যুবলীগের সাংগঠনিক অবস্থা খুবই করুণ
আওয়ামী লীগের বড় শক্তি যুবলীগ। সর্বশেষ যশোর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয় ২০০৩ সালের ১৯ জুলাই। এতে মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী সভাপতি ও জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ৫৩ সদস্যের কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০০৬ সালে। কিন্তু তারপর পেরিয়ে গেছে টানা ১৫ বছর। একই অবস্থা উপজেলা যুবলীগের কমিটিগুলোর।
তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটিতে ৪ বছর পার হয়েছে সবগুলো উপজেলায়। ২০১৭ সালের ২১ মার্চ যশোর সদর ও শহর যুবলীগ, ২৯ মার্চ বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা এবং এপ্রিল ও মে মাসে মণিরামপুর, কেশবপুর, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলা যুবলীগের ৩ মাস মেয়াদি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় যুবলীগ। ৩ মাসের সেই আহ্বায়ক কমিটি পার করেছে চার বছর। দীর্ঘদিন পর গত পহেলা ডিসেম্বর যশোর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২৩ জানুয়ারি সম্মেলন অনুষ্ঠানের দিনধার্য হয় কিন্তু হঠাৎ করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় স্থগিত করা হয় কাক্সিক্ষত এই সম্মেলন।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুর্গে আঘাত হানতে পারে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীরা। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টির মধ্যে ৫টিতে জিতে যায় বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থীরা। একমাত্র কেশবপুরে নৌকার প্রার্থীর জয়। আওয়ামী লীগের দুর্গে বেহাত হওয়া আসনগুলো ২০০৮ সালের নির্বাচনে পুনরুদ্ধার করে আওয়ামী লীগ।
রাজনীতি সচেতন মহলের অভিমত, দলটিতে স্বচ্ছতা নেই। নেই সুস্থ রাজনীতির চর্চা। সহযোগী সংগঠনগুলো থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে না নতুন নেতৃত্ব। এসবের জন্য ‘মাই ম্যান’ রাজনীতির চর্চাকে দুষছেন তারা।
এ নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে বিশ^াসী অনেকে মনে করেন যশোরে ‘সেই সব’ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের দিন শেষের পথে। তাদের ভাষ্যমতে, ধীরে হলেও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজের নেতৃবৃন্দের হাতে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় নির্বাচনেও তার প্রভাব পড়েছে।
এসব বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, পৌর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়া যায়নি। তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। বিভিন্ন শাখা কমিটি গঠন বিষয়ক এজেন্ডাও আছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, সব দায় জেলা আওয়ামী লীগের। সদিচ্ছার অভাবে কমিটি গঠন ও নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, যশোর শহর ও সদরসহ কোনো উপজেলা ও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কমিটি নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। যেকারণে নতুন নেতৃত্বের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এর ফলে দল সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মনে করেন এই নেতা।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ বলেন, বেশ কিছু নির্বাচনের কারণে অনেকগুলো কমিটি গঠন করা যায়নি। সম্মেলন হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা যায়নি সদর ও শহর আওয়ামী লীগের। তিনি বলেন, এরই মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে সভা সমাবেশসহ জনসমাগমে বিধিনিষেধ রয়েছে। তিনিও মনে করেন, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় দলটি সাংগঠনিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে।