নিরঞ্জন চক্রবর্তী, নেংগুড়াহাট: জাহান আলী (৪৫)। এক সময়ে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের নামকরা ফুটবলার। যেখানেই খেলা করতে যেতেন সেখানেই রাজগঞ্জ ফুটবল একাদশের মুখ উজ্জ্বল করতেন। পড়ালেখা করতেন রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তখন রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইন্টারস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতার সকল স্তরে প্রথম স্থানে থাকতো শুধু জাহান আলীর দক্ষতায়। জাহান আলীর ডাক পড়তো জেলা-উপজেলার বিভিন্ন ম্যাচে খেলার জন্য। দারিদ্রতার কারণে লেখাপড়া আর খেলাধুলা কোনটায় বেশিদুর এগোয়নি তার।
সেই নামকরা ফুটবলার জাহান আলী এখন রাজগঞ্জ ভাসমান সেতু এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় একটি ভ্যানগাড়ির উপর ঝালমুড়ি আর মসলা মেশানো পেয়ারা বিক্রি করে দিন যাপন করছেন। আক্ষেপের সাথে তিনি বলেন, সেই দিনগুলিতে লোকে বাহবা দিত আর বলতো জাহান একদিন বড় ফুটবলার হবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মাম পরিহাস। বেশিদুর এগুতে পারিনি। এখন স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে সংসার জীবনে হাবুডুবু খাচ্ছি। অল্প আয়, আর ব্যয় বেশি।
কিছুতেই সামাল দিতে পারছি না। রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়ে ও রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করা সম্ভব হয়না। চাহিদামত খাবারই দিতে পারিনা তারপর পোশাক। প্রতিদিন ঝালমুড়ি আর পেয়ারা বিক্রি করে একশ’-দেড়শ’ টাকা আয় হয় যা দিয়ে সংসার খরচ মেটানো সম্ভব হয়না। সন্তান সন্ততি নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছি।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ৬