নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের ঝিকরগাছায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের কলাগাছির ডিলার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। চালের দাম ১০ টাকা কেজি থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করার পরও ডিলাররা চাল কম দেওয়ায় নিম্ন আয়ের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ডিলার নাসির উদ্দিনের আওতায় ৫৪৪ জন সুবিধাভোগী রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ডিলাররা সুবিধাভোগীদের ৪৫০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেবেন। কিন্তু খাদ্যগুদাম থেকে চালের ৩০ কেজির বস্তার পরিবর্তে ৫০ কেজির বস্তা নিয়ে তাদের গুদামে তোলেন এবং সুবিধাভোগীদের বস্তায় চাল মেপে বিতরণ করেন। তখন ৩০ কেজির পরিবর্তে কাউকে ২৯ কেজি ৮০০, কাউকে ২৯ কেজি ৭০০ আবার কেউ কেউ ২৯ কেজি ৪০০-৫০০ গ্রাম চাল পেয়েছেন।
চারাতলা গ্রামের ফিরোজ মিয়াজী বলেন, ৩০ কেজির জন্য ৪৫০ টাকা দিয়েছি। তবে চাল পেয়েছি ২৯ কেজি ৮০০ গ্রাম। কলাগাছি গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী বলেন, আমাকে দিয়েছে ২৯ কেজি ৭৫০ গ্রাম। বায়শা গ্রামের সাহাবুদ্দিন আলম বলেন, আমি পেয়েছি ২৯ কেজি ৭০০ গ্রাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুবিধাভোগীরা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির শুরুতে তাদের ৩০ কেজি চালের বস্তা দেওয়া হতো। কিন্তু এখন চাল নেওয়ার জন্য তাদের বাড়ি থেকে খালি বস্তা নিয়ে আসতে হয়। পরে প্রকাশ্যে ওজন মাপার যন্ত্র দিয়ে চাল মেপে কম দিচ্ছেন। তবে কারো মুখ খোলার সাহস নেই।
ডিলার নাসির উদ্দিন বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে পাঠানো ৫০ কেজির বস্তায় চাল কম রয়েছে। এ কারণে আমরাও সবাইকে ওজনে আড়াইশ’ গ্রাম কম দিচ্ছি।
নাভারণের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহরব হোসেন বলেন, ৩০ কেজি চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। চাল কম দিলে সুবিধাভোগীরা যেনো না নেয় আমি সে বিষয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলবো।
ঝিকরগাছা উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান লিটন বলেন, ট্যাগ অফিসার জাকির হোসেনকে সঠিক মাপে চাল বিতরণের জন্য বলেছি, অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে ডিলার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর বেওয়ারিশ কার্ডে চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেওয়ারিশ কার্ড বাতিল করে নতুন তালিকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে রেকর্ড, বেড়েছে পাসের হার