নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের ঝিকরগাছার মাগুরা ইউনিয়নের ডেওর বিলে ভেড়ী বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিলে বাঁধ দেওয়ার ফলে ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের কৃষকদের দুটি মৌসুমে চাষাবাদে ব্যাহত হচ্ছে। দখলদারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মিথ্যা মামলা ও ভয় ভীতি দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দবিবুর রহমান।
লিখিত বক্তব্য জানানো হয়, ‘বিলের ৩১৫৬ এসএ দাগের ৪৭ একর জমি যা ছিলো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের। কিন্তু নানাবিধ কারণে তারা ভারতে চলে যাওয়ায় জমিটি অবৈধ দখল করে রয়েছেন আইন উদ্দিন ও তার লোকজন। বিলে ভেড়ী বাঁধ নির্মাণ করে তারা মাছ চাষ করে আসছেন। বাঁধ নির্মাণের ফলে ইউনিয়নের ডহর মাগুরা, চান্দা, মোহাম্মদপুর, আশিংড়ি, সন্তোষনগর, বহিরামপুর ও মাগুরা গ্রামের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আমন ও বোরো চাষের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় বিলে কোন প্রকার ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না। বিলের ফসল উৎপাদন করে ইউনিয়নের দুই হাজার কৃষক তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। কৃষকরা বেড়ী বাঁধ তৈরিতে বাধা দিলে দখলদাররা ভুক্তভোগীদের ওপর চড়াও হয়। এমনকি ভুক্তভোগী শাহারুল, বাবু, আশিয়ার, জসিম, আশাদুল, জালাল টিপুর নামে মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ করে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা দাবি তোলেন, অবৈধ দখলদাররা ভোগ দখল করে বর্তমান সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ডেওর বিল যেহেতু হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিলো। তাই বিল সম্পূর্ণ অবমুক্ত করে খাস খতিয়ানে আনতে হবে। এতে কৃষক ও সরকার উভয় লাভবান হবেন। একই সাথে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও কৃষকরা যাতে তাদের ফসল উৎপাদিত করতে পারে সেদিকেও প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আইন উদ্দিনের নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। আর ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক জানান, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রেজাউল হক, আসাদুল, আক্তার, মমিন, আশিকুর প্রমুখ।